ড্রাগন ফলের স্বাস্থ্য উপকারিতা
ড্রাগন ফলের স্বাস্থ্য উপকারিতা
ড্রাগন ফলের স্বাস্থ্য উপকারিতা
ড্রাগন ফলে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম রয়েছে । ড্রাগনের মতো দেখতে তাই আমরা ফলটিকে ড্রাগন বলে থাকি । এটি হাইলোসেরিয়াস নামে পরিচিত ক্লাইম্বিং ক্যাকটাসে বৃদ্ধি পায় । এটি মূলত গ্রীষ্মমন্ডলীয় অঞ্চলে বেশি উৎপন্ন হয় । আমাদের দেশে মূলত ড্রাগন ফলের রং লাল ও গোলাপি বেশি পাওয়া যায় । ড্রাগন ফলের গাছ অবিকল ক্যাকটাস গাছের মতো হয়ে থাকে । ড্রাগন ফলে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পাওয়া যায় , যেমন বেটালাইস, হাইড্রোক্সি সিনাটিস, ফ্লাভোনয়েডস ।
ড্রাগন ফলের স্বাস্থ্য উপকারিতা ঃ
ডায়াবেটিকস কমাতে ঃ
ড্রাগন ফলের ভেতরে থাকা ফাইবারের কারণে যা চিনির স্পাইক কমায় । কিছু গবেষক ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিস্থাপন করার ক্ষমতার জন্য এই সুবিধাটি কে দায়ী করেন অগ্নাশয় ইনসুলিন তৈরি করে যা চিনি কে ভেঙে দেয় । তাই ড্রাগন ফল চিনি নিয়ন্ত্রণ করে ডায়াবেটিকস কমায় ।
ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে ঃ
এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ফ্লাভোন ফেনোলিক অ্যাসিড এবং বিটা সায়নিক সমৃদ্ধ, যা ফ্রী রেডিকেল দ্বারা ক্ষতি প্রতিরোধ করে । ফ্রী রেডিক্যাল হলে এমন পদার্থ যা ক্যান্সার এবং অকাল বার্ধক্য সৃষ্টি করে । প্রধানত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন সি পারকিনসন্স ইত্যাদি ড্রাগন ফলের প্রধান স্বাস্থ্য উপকারীতা ।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ঃ
উপরে উল্লেখিত হিসাবে, ড্রাগন ফল হলো ভিটামিন সি এর একটি প্রধান উৎস । ভিটামিন সি একটি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা রোগ প্রতিরোধের সাহায্য করে এবং আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়. কিছু গবেষণায় রোগ প্রতিরোধের জন্য প্রতিদিন 200 গ্রাম ড্রাগন ফল খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে ।
হজম শক্তি বাড়াতে ঃ
ড্রাগন ফলের মধ্যে রয়েছে অলি গোস্যাকাইডের মতো প্রবায়োটিক অস্ত্রের ভালো ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধিতে সহায়তা করে এই প্রবায়োটিক খাদ্য হজমে সাহায্য করে যেহেতু তারা নিম্ন পরিপাকতন্ত্রে থাকে যেখানে তারা ভালো মন্ত্রের ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধিতে সহায়তা করে । অন্ত্রের ব্যাকটেরিয়া খাদ্যকে সহজে শোষিত করে ভেঙে ফেলতে সাহায্য করে । এছাড়াও তারা ভিটামিন সরবরাহ করে যা শরীরকে রোগ বলাই থেকে রক্ষা করে ।
হার্ট ভালো রাখতে ঃ
আমাদের শরীর ধারণ করে হিমোগ্লোবিন যা আয়রন সমৃদ্ধ । এই হিমোগ্লোবিন কোষগুলি হৃৎপিণ্ড থেকে শরীরের অন্যান্য অংশে অক্সিজেন পরিবহনে সহায়তা করে । ড্রাগন ফল আয়রনের একটি সমৃদ্ধ উৎস এবং তাই হিমোগ্লোবিন তৈরিতে সহায়তা করে । ড্রাগন ফলের মধ্যে রয়েছে বেটালাইন, যা অনন্য নাইট্রোজেন যুক্ত রঙ্গক। দুইটা লাইন শরীরের খারাপ কোলেস্টেরল কমায় হার্ট ভালো রাখে ।
হাড় ভালো রাখতে ঃ
ড্রাগন ফলের মধ্যে রয়েছে ম্যাগনেসিয়াম যা হাড়কে শক্তিশালী করে, বার্ধক্য জনিত আঘাত এবং ব্যথা এড়াতে সাহায্য করে । তাই ডাক্তারগণ হাড়ের রোগের ঝুঁকি বেশি যে রোগী তাদেরকে নিয়মিত ড্রাগন ফল খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন ।
চোখের যত্নে ঃ
ড্রাগন ফলে ভিটা ক্যারোটিন রয়েছে যা ভেঙ্গে ভিটামিন এ তে রূপান্তরিত হয় । মানুষের চোখের লেন্সে প্রচুর পরিমাণে লুটেন, জিক্সানথিন এবং মেসো জেক্সানথিন রয়েছে, যা চোখের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে এবং চোখের রোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে । চক্ষু বিজ্ঞানীরা পরামর্শ দেয় যে চোখের রোগ প্রতিরোধে মানুষের প্রতিদিন 3 মিলিগ্রাম থেকে 6 মিলিগ্রাম বিটা ক্যারোটিন গ্রহণ করা উচিত ।
গর্ভ অবস্থায় ঃ
ভালো চর্বি শরীরে উচ্চ শক্তির মাত্রা বজায় রাখতে সাহায্য করে এবং ভ্রণের মস্তিষ্কের বিকাশে সহায়তা করে । ড্রাগন ফল সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে এবং কোষের পূণ্য জন্মে সাহায্য করে । ড্রাগন ফলের ফাইবার গর্ভবতী মহিলাদের কোষ্ঠকাঠিন্য এবং অন্যান্য গ্যাস্ট্রিক রোগ প্রতিরোধ করে । ড্রাগন ফল খেলে হিমোগ্লোবিন মাত্রা বৃদ্ধি পায় তাই গর্ব অবস্থায় মহিলাদের ড্রাগন ফল খাওয়া অত্যন্ত জরুরী ।
শেষ কথা ঃ
ড্রাগন ফলে অসংখ্য স্বাস্থ্য উপকারিতা আছে । তাই আমাদের নিত্যদিনের খাদ্য তালিকায় ড্রাগন ফল রাখা অত্যন্ত জরুরি ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url