দুধে হলুদ মিশিয়ে খাওয়ার উপকারিতা
দুধে হলুদ মিশিয়ে খাওয়ার উপকারিতা
দুধ ও হলুদের পুষ্টিগুণ ঃ
নানা পুষ্টিতে ভরপুর দুধ ও হলুদ । রোজ রাতে ঘুমোতে যাওয়ার পূর্বে এক গ্লাস দুধ ও হলুদের মিশ্রণ খেয়ে নিন । তাতে নানা রোগ শরীর থেকে দূরে থাকবে ।
দুধ হলুদের আমি উপকারিতা ঃ
সব রোগের এক প্রাচীন ঘরোয়া মহা ওষুধ হলো দুধ ও হলুদ । আয়েরর্বেদিক চিকিৎসাতেও যুগ যুগ ধরে এর ব্যবহার হয়ে আসছে । এর গুণের শরীর থাকে প্রাণবন্ত । তাইতো এখনো অনেক বাড়িতে রাতে ঘুমাতে যাওয়ার পূর্বে হলুদ দুধে চুমুক দেওয়ায় অবশ্য হিসেবে দেখেন ।
রাতে ঘুম ভালো হয় ঃ
হলদে রয়েছি সক্রিয় উপাদান কারকিউমিন এই কারকিউমিনের গুনে শরীল থাকে রোগমুক্ত । গরম দুধে হলুদ মিশিয়ে নিলে এর গুণ আরো বেড়ে যায় । দুধে রয়েছে অ্যামাইনো এসিড , ট্রিপটোফান । এর জন্য শরীল ও মন সতেজ থাকে দুচোখ জুড়ে ঘুম নেমে আসে নিমিশেই ।
ইউমিনিটি বাড়ে দ্রুত ঃ
হলুদের রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও আন্টি ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে এই ভেষজ। তাই রাতে হলুদ দুধে চুমুক দিলে সর্দি কাশির মত ফটো কাটো সংক্রমণ বাসা বাঁধতে পারবে না শরীরে।
ব্যথা কমাতে ঃ
শরীরে প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে দুধ-হলূদ। দুধ ও হলুদ সেবনের ফলে কমে আর্থ্রাইটিস বা জয়েন্ট ব্যথা। তাই প্রতি রাতে হলুদ দুধ খেতে ভুলবেন না
হজম শক্তি বাড়াতে:
রাতে শুতে যাবার আগে হলুদ দুধ পান করলে হজমের সমস্যা দূর হয়। মুক্তি মেলে ব্লোটিং গ্যাস থেকেও। তাই রোজ রাতে দুধ ও হলুদ সঙ্গী করে নিন।
লিভার ভালো রাখতে:
প্রাকৃতিক ডিটক্সিফায়ারের কাজ করে হলুদ দুধ। লিভার থেকে টক্সিন দূর করতে সাহায্য করে এই পানীয়। ফলে লিভারের কার্যকারিতা ঠিক থাকে।
শ্বাসকষ্ট দূর করতে:
সর্দি কাশির মুখ্য ঘরোয়া টোটকা হিসেবে পরিচিত হলুদ দুধ। এর অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি এন্টিমাইক্রোবিয়াল ধর্ম শ্বাসনালীর বদ্ধ ভাব দূর করে। ফলে শ্বাসকষ্টের সমস্যা দূর হয়।
ওজন কমাতে:
রাতে হলুদ দুধে চুমুক দিলেই মেটাবলিজম বাড়ে। ফলে দ্রুত গলে যায় মেদ। ওজন থাকে নিয়ন্ত্রনে। তাই সুস্থ শরীর পেতে আজ থেকেই ডায়েটে যুক্ত করতে পারেন হলুদ দুধ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url