পেয়ারা খাবার ১০ টি উপকারিতা

পেয়ারা খাবার ১০ টি উপকারিতা



পেয়ারা একটি গ্রীষ্মকালীন সুস্বাদু ও পুষ্টিকর ফল যা স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী। তবে এখন আমাদের দেশে সারা বছরই পেয়ারা পাওয়া যায়। পেয়ারাতে বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন, খনিজ, এবং অন্টি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আছে। যা মানবদেহের জন্য অনেক উপকারী।

১.পুষ্টিগুণঃ

পেয়ারায় ভিটামিন সি এবং ভিটামিন এর একটি চমৎকার উৎস। ভিটামিন সি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। এটি শরীরকে বিভিন্ন রোগ ও সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে থাকে। একটি মাঝারি আকারের পেয়ারাতে প্রায় 200- 300 মিলিগ্রাম ভিটামিন সি থাকে, যা দৈনিক প্রয়োজনের তুলনায় অনেক বেশি।

২.হজম শক্তি বাড়াতে ঃ

পেয়ারাতে প্রচুর ডায়েটরি ফাইবার রয়েছে, যা হজম শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করে। ফাইবার যুক্ত খাবার খেলে পেট পরিষ্কার থাকে এবং হজম শক্তি বৃদ্ধ পায়। বিশেষ করে পেয়ারার খোসা সহ খাওয়া গেলে এর ফাইবারের উপকারিতা আরও বাড়ে। 

আরও পড়ুন ঃ 

৩.ওজন নিয়ন্ত্রণেঃ

পেয়ারাতে ক্যালরির পরিমাণ কম  এবং ফাইবারের পরিমাণ বেশি যা ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। যারা ওজন কমাতে চান, তাদের জন্য পেয়ারা একটি আদর্শ ফল। পেয়ারা খেলে দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা অনুভূতি থাকে ফলে অতিরিক্ত খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকা যায়।

৪.হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে ঃ

পেয়ারাতে কলেস্টরেল কমাতে সাহায্য করে যা হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে বেশ সহায়ক। পেয়ারা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে ও সাহায্য করে। পেয়ারার অ্যান্টি অক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি ইন প্লেমেটরি উপাদান গুলি  হদপিণ্ডের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।

৫.ব্লাড সুগার কমাতে ঃ

পেয়ারা ইনসুলিনের মত কাজ করে থাকে, যা রক্তের সুগার লেভেল নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। পেয়ারা বিশেষ করে ডায়াবেটিকস রোগীর জন্য একটি উপকারী ফল। নিয়মিত পেয়ারা খেলে রক্তের সুগার লেভেল নিয়ন্ত্রণে থাকে। 

৬.ত্বক ও চুলের জন্য উপকারীঃ

পেয়ারাতে থাকা ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট গুলি ত্বক এবং ফুলের জন্য অত্যন্ত উপকারী। পেয়ারা খেলে টক নরম এবং মসৃন থাকে এবং বার্ধক্য জনিত পরিবর্তন রোধ করে। পেয়ারার তৈরি বেস্ট ত্বকে ব্যবহার করলে ব্রণের সমস্যা কমাতে সাহায্য করে। 

৭.মাইক্রোনিউট্রিয়েন্টঃ

পেয়ারাতে ম্যাঙ্গানিজ পটাশিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম এর মত বিভিন্ন মাইক্রো নিউট্রিয়েন্ট আছে। এই উপাদানগুলি শরীরের বিভিন্ন কার্যাবলী সঠিকভাবে পরিচালনা করতে সাহায্য করে থাকে। ম্যাঙ্গানিজ হাড়ের স্বাস্থ্য উন্নত করতে এবং পটাশিয়াম হৃদপিন্ডের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। 

৮.অ্যান্টি- ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্যঃ

পেয়ারায় থাকা অ্যান্টি- ইনফ্লেমেটরি উপাদানগুলি শরীরের প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। প্রদাহ অনেক ধরনের রোগের মূল কারণ হতে পারে, তাই নিয়মিত পেয়ারা খেলে এই সমস্যা সমাধান হতে পারে।

৯.দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে ঃ

পেয়ারার উপস্থিত ভিটামিন এ চোখের স্বাস্থ্য উন্নত করতে সাহায্য করে, এটি রাতের দৃষ্টি শক্তি বাড়াতে এবং চোখের নানা ধরনের সমস্যায় প্রতিরোধ করতে সহায়ক। নিয়মিত পেয়ারা খেলে চোখ ভালো থাকে। 

১০.মেটাবলিজম বৃদ্ধিঃ

পেয়ারার ফাইবার এবং পুষ্টির কারণে এটি মেটাবলিজম বাড়াতে সাহায্য করে। দ্রুত মেটাবলিজম শরীরের অতিরিক্ত ক্যালরি পোড়াতে সহায়ক যা ওজন নিয়ন্ত্রণের সাহায্য করে থাকে।

পরিশেষে ঃ

পেয়ারা একটি পুষ্টিকর ফল যা স্বাস্থ্যের জন্য নানা উপকারিতা প্রদান করে থাকে। এটি সহজলভ্য এবং বিভিন্নভাবে খাওয়া যায়। পেয়ারার এই উপকারিতা গুলি অন্তর্ভুক্ত করে স্বাস্থ্যকর ডায়েটের অংশ হিসেবে এটি সহজে গ্রহণ করা যেতে পারে। তবে নতুন খাদ্য আপনার ডায়েটের তালিকায় যোগ করার আগে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উত্তম। পেয়ারা সাদ ও পুষ্টিগুণ উপভোগ করুন এবং স্বাস্থ্য জীবন যাপন করুন।




এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url