বাংলা আর্টিকেল লেখার নিয়ম সমূহ
বাংলা আর্টিকেল লেখার নিয়ম নিয়ে আজকে আমরা আলোচনা করব।বাংলা ভাষায় আর্টিকেল লেখার চাহিদা দিন দিন বেড়েই চলেছে। আজকে আমরা জানবো কিভাবে একটি বাংলা আর্টিকেল লিখতে হয় ।
বর্তমানে সময় অনেক মানুষ আছে যারা ঘরে বসে আর্টিকেল লিখে প্রতি মাসে ২০-২৫ হাজার টাকা ইনকাম করছে।পার্ট টাইম জব হিসেবে এটি একটি ভালো উদ্যোগ। আর আর্টিকেল লিখতে হলে আর্টিকেল লেখার নিয়ম জানতে হবে।
পেইজ সূচিপত্র
- বাংলা আর্টিকেল লেখার নিয়ম
- ফোকাস কিওয়ার্ড নির্বাচন
- আকর্ষণীয় টাইটেল নির্বাচন
- আর্টিকেলে ভূমিকা বাটন যুক্তকরন
- প্রয়োজনীয় তথ্য তুলে ধরুন
- আর্টিকেল লেখার সময় প্যারাগ্রাফ আকারে লেখা উচিত
- নাম্বার ও বুলেট পয়েন্ট ব্যবহার করুন
- ইন্টারনাল লিংক যুক্ত করুন
- ফিচার ইমেজ ব্যবহার করুন
- উপসংহার যুক্ত করুন
- কপিরাইট এড়িয়ে চলন
- অনপেজ এসইও
আশা করছি সম্পূর্ণ পোস্টটি শেষ পর্যন্ত পড়বেন আপনারা যদি সম্পূর্ণ পোস্টটি শেষ পর্যন্ত পড়েন তাহলে আপনি আর্টিকেল লেখা শিখে যাবেন। চলুন তাহলে আর্টিকেল লেখার নিয়ম গুলো ধাপে ধাপে দেখে ফেলি ।
বাংলা আর্টিকেল লেখার নিয়ম
বাংলা আর্টিকেল লিখতে হলে সহজে সরল ও প্রাণ চঞ্চল ভাষায় লেখার চেষ্টা করা উচিত যাতে পাঠকরা সহজেই বুঝতে পারে।আর্টিকেল বলতে সাধারণত একটি লেখাকে বোঝায় যা কোন নির্দিষ্ট বিষয়ের ওপর বিস্তারিত তথ্য প্রদান করে। আর্টিকেল বিভিন্ন ধরনের হতে পারে, যেমন সংবাদপত্রের আর্টিকেল, ব্লক পোস্ট, একাডেমিক গবেষণা, শিক্ষা, চিকিৎসা, বিজ্ঞান ইত্যাদি। আর্টিকেলের মূল লক্ষ্য হলো পাঠকের নির্দিষ্ট বিষয়ে তথ্য সরবরাহ করা, বিশ্লেষণ করা বা মতামত তুলে ধরা। আর্টিকেল বিভিন্ন ধরনের দৈর্ঘ্যের হতে পারে, এবং নির্ভর করে লেখক এর উদ্দেশ্য জনগোষ্ঠী এবং বিষয়বস্তুর উপর।
বাংলা আর্টিকেল লিখতে হলে সহজে সরল ও প্রাণ চঞ্চল ভাষায় লেখার চেষ্টা করা উচিত যাতে পাঠকরা সহজেই বুঝতে পারে। এছাড়াও আর্টিকেলটি এমনভাবে লিখতে হবে যাতে পাঠকরা পড়তে আগ্রহী হয় এবং তথ্যগুলি সহজেই আত্মস্থ করতে পারে। সহজ ভাষায় লিখে পাঠকের মনোযোগ ধরে রাখা এবং প্রয়োজনীয় তথ্য সঠিকভাবে উপস্থাপন করা এর মূল লক্ষ্য।
ফোকাস কিওয়ার্ড নির্বাচন
বাংলায় আর্টিকেল লিখতে আপনাকে এমন একটি কিওয়ার্ড নির্বাচন করতে হবে যা আপনার আর্টিকালের মূল বিষয়টি তুলে ধরে।ফোকাস কি ওর নির্বাচন একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ যখন আপনি আর্টিকেল লিখছেন বা এই এসইও কৌশল ব্যবহার করছেন। ফোকাস কিওয়ার্ড সেই নির্দিষ্ট শব্দ বা বাক্যাংশ যা আপনার কনটেন্টের মূল বিষয়বস্তু প্রকাশ করে এবং যেটি মানুষ সার্চ ইঞ্জিনে সবচেয়ে বেশি অনুসন্ধান করে।
ফোকাস কিওয়ার্ড নির্বাচন করার সময় কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখা উচিত। সঠিক কিওয়ার্ড নির্বাচন করলে আপনার আর্টিকেলটি গুগল বা অন্যান্য সার্চ ইঞ্জিনে শীর্ষে উঠার সুযোগ পায়। যেমনঃ
১ রিলাভেন্স প্রাসঙ্গিকতা ঃ আপনি যখন বাংলায় আর্টিকেল লিখবেন যে বিষয় নিয়ে ফোকাস কী ওয়ার্ড টি সাথে সরাসরি সম্পর্কিত হতে হবে।
২ সার্চ ভলিউম ঃ বাংলায় আর্টিকেল লেখার সময় কিওয়ার্ড টি কতজন মানুষ সার্চ করেছে তা বোঝার জন্য সার্চ ভলিউম দেখুন। উচ্চ সার্চ ভলিয়ম মানে এই কিওয়ার্ড টি জনপ্রিয় এবং অনেকেই ব্যবহার করেছে।
৩ প্রতিযোগিতা ঃ ফোকাস কিওয়ার্ডের ওপর প্রতিযোগিতা খুব বেশি হয় তবে আপনার জন্য র্যাঙ্ক করা কঠিন হতে পারে। মাঝারি বা কম প্রতিযোগিতার কিওয়ার্ড বেছে নিন যাতে আপনি সহজে আপনার আর্টিকেলের রেঙ্ক করাতে পারেন।
৪ লং টেল কিওয়ার্ড ব্যবহার করুন ঃ লং টেল কিওয়ার্ড যেমন শ্রেষ্ঠ এসইও কৌশল ২০২৪ সাধারণত কম প্রতিযোগিতামূলক হয় এবং আরো নির্দিষ্ট সার্চ ট্রাফিক আনে।
আকর্ষণীয় টাইটেল নির্বাচন
- টাইটেলটি সংক্ষিপ্ত ও পরিষ্কার রাখুন যাতে পাঠকরা দ্রুত বুঝতে পারে যে কনটেন্টটি কি বিষয়ে লেখা।
- সংখ্যা সূচক টাইটেলগুলি পাঠকদের কাছে বেশি আকর্ষণীয় মনে হয়।
- টাইটেলে এমন শব্দ ব্যবহার করুন যা পাঠকের মধ্যে কৌতুহল বা আবেগ জাগায়। যেমন অবিশ্বাস্য, অবিশ্বাস্যভাবে সহজ, পরীক্ষিত বিশেষজ্ঞ দ্বারা প্রমাণিত ইত্যাদি।
- এমন টাইটেল তৈরি করুন যা একটি প্রশ্ন তোলে বা এমনভাবে লেখা হয় যা পাঠককে জানতে আগ্রহী করে তোলে।
- আপনার টার্গেট দর্শককে বোঝার চেষ্টা করুন এবং তাদের প্রয়োজন অনুযায়ী টাইটেল তৈরি করুন। যদি টাইটেলটি তাদের সমস্যার সমাধান বা তাদের আগ্রহের বিষয় নিয়ে হয় তবে তারা আরো সহজ আকৃষ্ট হবে।
আর্টিকেলে ভূমিকা বাটন যুক্তকরন
প্রতিটি আর্টিকেলের শুরুতে একটি ভূমিকা বাটন তৈরি করুন। যা পাঠককে মূল বিষয়বস্তু সম্পর্কে ধারণা দেয়। ভালো একটি ভূমিকা লেখার মাধ্যমে আপনি পাঠকদের কাছে আপনার আর্টিকেলের গুরুত্ব ও প্রাসঙ্গিকতা তুলে ধরতে পারেন। ভূমিকা বাটন লেখার কৌশল সমূহ ঃ
- এমন একটি লাইন দিয়ে শুরু করুন যা পাঠকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। এটি হতে পারে একটি কৌতূহল জাগানো তথ্য, একটি প্রাসঙ্গিক উক্তি বা একটি আকর্ষণীয় প্রশ্ন আপনার পাঠকদের সমস্যাটি তুলে ধরুন এবং তাদের সমস্যার সমাধান আপনার আর্টিকেলে পাওয়া যাবে সে সম্পর্কে ইঙ্গিত দিন। এর ফলে তারা আরো আগ্রহী হয়ে উঠবে।
- কেন এই বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ এবং কেন পাঠকদের এটি সম্পর্কে জানা দরকার, সেটি ব্যাখ্যা করুন। এতে তারা বুঝতে পারবে যে তাদের জন্য এই কনটেন্টি মূল্যবান।
- সংক্ষেপে উল্লেখ করুন যে আপনার আর্টিকেল কোন কোন বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হবে। তবে এখানে খুব বেশি বিস্তারিত হওয়ার প্রয়োজন নেই শুধু, মূল পয়েন্টগুলো তুলে ধরুন।
- নিশ্চিত করুন যে ভূমিকা লেখার সময় আপনি পাঠকদের ইন্টেন্ট সম্পর্কে সচেতন রয়েছে এবং তাদের প্রশ্নের উত্তর বা তথ্যপ্রাপ্তির ইচ্ছা পূরণ করতে প্রস্তুত।
উদাহরণস্বরূপ, যদি আপনার আর্টিকেলের বিষয়বস্তু হলো স্বাস্থ্যকর খাদ্যবাস তাহলে ভূমিকা অংশে আপনি বলতে পারেন কেন স্বাস্থ্যকর খাদ্যবাস গুরুত্বপূর্ণ এবং কিভাবে এটি আপনার জীবনে পরিবর্তন আনতে পারে।
প্রয়োজনীয় তথ্য তুলে ধরুন
আর্টিকেলের মূল অংশে বিষয়বস্তুর সঙ্গে সম্প্রকৃত সব দরকারে তথ্য তুলে ধরুন। তথ্যগুলো সঠিক ও যাচাই করা হওয়া উচিত। তথ্যবহুল আর্টিকেল পাঠক কে শিক্ষিত করে এবং তাদের জ্ঞান বৃদ্ধি করে। প্রয়োজনীয় তথ্য তুলে ধরার কৌশল যেমন ঃ
- তথ্য গুলি লেখার আগে বিষয়ে পর্যাপ্ত গবেষণা করুন এবং বিশ্বস্ত সূত্র থেকে তথ্য সংগ্রহ করুন। তথ্যের যথার্থতা নিশ্চিত করার জন্য বিশ্বস্ত সোর্স ব্যবহার করা যেতে পারে।
- গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পয়েন্ট বা বুলেট আকারে উপস্থাপন করলে পাঠকরা সহজে বুঝতে পারবেন। এটি পাঠকদের তথ্য দ্রুত গ্রহণ করতে সাহায্য করবে।
- কঠিন বা জটিল ভাষার পরিবর্তে সহজ ও সরল ভাষায় তথ্য উপস্থাপন করুন, যাতে সবাই সহজে বুঝতে পারবে। তথ্যকে আরো বাস্তবসম্মত আকর্ষণীয় করতে উদাহরণ বা কেস স্টাডি ব্যবহার করুন।
- এটি আপনার আর্টিকেল এর বিষয়ে আরো ভালোভাবে বুঝতে সাহায্য করবে। যখনই সম্ভব, তথ্যের সাথে প্রাসঙ্গিক ডেটা বা পরিসংখ্যান তুলে ধরুন। এটি আপনার আর্টিকেল কে আরো বিশ্বাসযোগ্য এবং প্রমাণ ভিত্তিক করে তুলবে।
- বিভিন্ন সাবহেডিং বা উপশিরোনাম ব্যবহার করুন যাতে তথ্যগুলো সহজে গোষ্ঠীবদ্ধ হয় এবং পাঠকদের জন্য স্কিমিং করার সহজ হয়।
- তথ্যগুলোকে আরো স্পষ্ট ভাবে বোঝানোর জন্য ছবি, চার্ট বা ইনফোগ্রাফিক যুক্ত করেন। ভিজুয়াল উপাদান গুলো তথ্যকে আরো আকর্ষণীয় এবং সহজবোধ্য করে তোলে।
- দরকারি তথ্য পরিষ্কারভাবে তুলে ধরার মাধ্যমে আপনি পাঠকদের জন্য আপনার কনটেন্ট কে আরো মূল্যবান করে তুলতে ধরতে পারবেন।
বাংলা আর্টিকেল লেখার সময় যেসব উৎস থেকে তথ্য সংগ্রহ করবো
- অনলাইন তথ্যভাণ্ডার বাংলা আর্টিকেল লেখার তত্ত্বের জন্য উইকিপিডিয়া একটি প্রধান উৎস। তবে এটি সম্পূর্ণ নির্ভরযোগ্য নয় তাই এ তথ্যের সত্যতা যাচাই করতে অন্যান্য উৎসাহ দেখে নিতে হবে।
- Google Scholar.JSTOR, ResearchGate-এর মত প্ল্যাটফর্ম গুলো তে গবেষণা নিবন্ধ পাওয়া যায়। আর্টিকেলের বিষয়বস্তু অনুযায়ী প্রাসঙ্গিক বই থেকে তথ্য সংগ্রহ করা অত্যন্ত কার্যকরী।
- সরকারি প্রতিষ্ঠান এনজিও বা বড় সংস্থার দ্বারা প্রকাশিত বিভিন্ন রিপোর্টে ও তথ্যের নির্ভরযোগ্য উৎস। অনলাইন নিউজ সাইটগুলো থেকে সাম্প্রতিক ঘটনা তথ্য এবং ট্রেন্ড সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়, যেমন বিবিসি বাংলা প্রথম আলো bd news 24 ইত্যাদি।
- স্থানীয় এবং আন্তর্জাতিক সংবাদপত্র ও ম্যাগাজিন থেকে নির্ভরযোগ্য এবং আপডেট তথ্য সংগ্রহ করা যেতে পারে। বিশেষজ্ঞদের ইন্টারভিউ বা ব্যক্তিগত পর্যবেক্ষণ আর্টিকেলের জন্য তথ্য সংগ্রহের একটি কার্যকারী উপায়। বিশেষজ্ঞরা তাদের অভিজ্ঞতা ভিত্তিতে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রদান করে থাকেন।
আর্টিকেল লেখার সময় প্যারাগ্রাফ আকারে লেখা উচিত
লম্বা লেখাকে ছোট প্যারাগ্রাফ এ ভাগ করুন। এতে পাঠক সহজেই পড়তে ও বুঝতে পারবে। আপনার লেখা যদি দীর্ঘ হয় তাহলে পাঠক আপনার আর্টিকেলটি পড়তে চাইবেনা। প্রতিটি প্যারাগ্রাফ একটি করে প্রধান পয়েন্ট তুলে ধরুন এবং সেই পয়েন্টটি বিস্তারিতভাবে ব্যাখ্যা করুন। তাহলে পাঠক ধীরে ধীরে বিষয়টি বুঝতে পারবেন।
দীর্ঘ লেখা গুলোকে ছোট ছোট প্যারাগ্রাফ এ ভাগ করলে পাঠকের জন্য পড়া সহজ হয় এবং তারা বিষয়টি সহজেই আতস্ত করে নিতে পারে। ধরা যাক যদি আপনার আর্টিকেলের বিষয়বস্তু হলো স্বাস্থ্যকর খাদ্যভাস তাহলে আপনি প্রতিটি প্যারাগ্রাফের বিভিন্ন ধরনের স্বাস্থ্যকর খাদ্য তাদের পুষ্টিগুণ এবং সেগুলোর উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত লিখতে পারবেন।
নাম্বার ও বুলেট পয়েন্ট ব্যবহার করুন
বিভিন্ন তথ্য ও পয়েন্ট গুলো সহজে উপস্থাপন করার জন্য নাম্বার ও বুলেট পয়েন্ট ব্যবহার করুন। এতে আর্টিকেলটি দেখতে সহজ ও পড়তে আনন্দদায়ক হয়। বুলেট পয়েন্ট ও নাম্বার ব্যবহার করে তথ্যগুলো সরজিত করলে পাঠক দ্রুত বিষয়টি বুঝতে পারে যেমন ঃ
- আপনি রোগা পাতলা হওয়ার জন্য ১০ দশটি টিপস লিখছেন। তাহলে প্রতিটি টিপস আলাদা আলাদা নাম্বারে বা বুলেট পয়েন্টে উপস্থাপন করতে পারেন।
- এতে পাঠক সহজে প্রতিদিন টিপস পড়তে এবং বুঝতে পারবে। নাম্বার ও বুলেট পয়েন্ট ব্যবহার করে আপনি আপনার লেখাকে আরো সংগঠিত, পঠনযোগ্য এবং আকর্ষণীয় করে তুলতে পারবেন।
ইন্টারনাল লিংক যুক্ত করুন
ইন্টার্নাল লিংক যুক্ত করা হলো এসইও এবং ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতা উন্নত করার একটি কার্যকর পদ্ধতি। ইন্টার্নাল লিঙ্ক হলো আপনার ওয়েবসাইটের এক পৃষ্ঠার সাথে অন্য পৃষ্ঠার সংযোগ। এটি ব্যবহারকারীদের জন্য ওয়েবসাইটের ভেতরে সহজে নেভিগেট করতে এবং প্রাসঙ্গিক বিষয়বস্তু খুঁজে পেতে সহায়তা করে। ইন্টারনাল লিঙ্ক যুক্ত করার কিছু কৌশল আছে যেমন ঃ
- ইন্টার্নাল লিংক তৈরি করার সময় প্রাসঙ্গিক কনটেন্ট বা পৃষ্ঠাগুলির সাথে সংযোগ করুন। নিশ্চিত করুন যে লিংকটি এমন কোন পৃষ্ঠায় যা ব্যবহারকারীর জন্য গুরুত্বপূর্ণ প্রাসঙ্গিক।
- ইন্টার্নাল লিঙ্ক তৈরির সময় অ্যাঙ্কর টিক্সট ব্যবহার করুন যা সেই লিংকের পৃষ্ঠার বিষয়বস্তু সাথে সম্পর্কিত।
- হোমপেজ বা মূল পৃষ্ঠার পরিবর্তে আপনার ওয়েবসাইটের গভীর বা ভেতরে পৃষ্ঠাগুলিতে লিঙ্ক করুন।
- ইন্টারনাল লিংক এমন ভাবে তৈরি করুন যেন এটি ব্যবহারকারীর জন্য মূল্যবান তথ্য প্রদান করে এবং তাদের অভিজ্ঞতা আরও উন্নত করতে পারে। এটি তাদের ওয়েবসাইটে আরো দীর্ঘ সময় ধরে রাখতে সহায়তা করবে।
- যে সব পৃষ্ঠা আপনি বেশি প্রমোট করতে চান বা যেগুলো এসইওর জন্য গুরুত্বপূর্ণ, সেগুলোকে বেশি বেশি ইন্টারনাল লিংক দিয়ে যোর দিন।
ইন্টারনাল লিঙ্ক যুক্ত করার মাধ্যমে আপনি আপনার ওয়েবসাইটের নেভিগেশন সহজ করতে পারবেন এবং সার্চ ইঞ্জিন র্যাংকিংয়ে উন্নতি করতে পারবেন।
ফিচার ইমেজ ব্যবহার করুন
আর্টিকেল আকর্ষণীয় করতে ফিচার ইমেজ যুক্ত করুন। এটি পাঠকের দৃষ্টি আকর্ষণ করবে ফিচার ইমেজ একটি আর্টিকেল বা ব্লগ পোস্ট এর একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। ফিচার ইমেজটি অবশ্যই আপনানর আর্টিকেলের মূল বিষয়ে সাথে সম্পর্কিত হওয়া উচিত। ছবিটি এমন হতে হবে যা আপনার পাঠকদের দ্রুত বুঝতে সাহায্য করবে যে আর্টিকেলটি কি সম্পর্কে লিখেছেন।
ফিচার ইমেজ সব সময় উচ্চ গুণমানের হওয়া উচিত। অস্পষ্ট বা নিম্নমানের ছবি ব্যবহার করলে আর্টিকেলের প্রভাব কমে যেতে পারে এবং পাঠকদের ওপর খারাপ ধারণা করতে পারে। ফিচার ইমেজ আপলোড করার সময় ফাইল সাইজ অপটিমাইজ করা গুরুত্বপূর্ণ, যাতে এটি ওয়েব পেজের লোডিং স্পিড কে প্রভাবিত না করে। আকার ছোট রাখুন কিন্তু মান সম্মত রাখুন। ফিচার ইমেজ ব্যবহারের মাধ্যমে আপনি আপনার আর্টিকেল বা ব্লগ পোস্টটি আরো প্রভাবশালী, পেশাদারী এবং পাঠকদের জন্য আকর্ষণীয় করে তুলতে পারেন।
বাংলা আর্টিকেল লেখায় লাইন গ্যাপ এবং ইন্টার দেওয়ার নিয়ম
এখন আমরা জানবো বাংলা আর্টিকেলে লাইন গ্যাপ এবং প্যারাগ্রাফ এর ফরম্যাটিং গুরুত্বপূর্ণ কিছু নিয়ম।
লাইন গ্যাপ
- সাধারণত বাংলা বা ইংরেজি আর্টিকেল লেখার সময় টাইমস নিউ রোমান বা সোলাইমান লিপি ফান্ডে লেখা হয় এবং ১.১ পাশ থেকে এক পয়েন্ট এক পাঁচ লাইন স্পেসিং রাখা হয়।
- বাংলা আর্টিকেল লিখার সময় পড়তে সহজ এবং চোখে আরামদায়ক করে তোলার জন্য লাইন গ্যাপ কিছুটা বড় রাখা ভালো। আর্টিকেল পড়ার সময় এক লাইনের পরে পরের লাইনের জন্য সহজভাবে চোখকে পড়ার মতো করে তোলে।
প্যারাগ্রাফ গ্যাপ
- প্যারাগ্রাফের মধ্যে আলাদা গ্যাপ দেওয়ার জন্য সাধারণত ইন্টার দিয়ে এক লাইন ফাঁকা রাখা উচিত।
- এক প্যারাগ্রাফ শেষ হলে দুইবার ইন্টার দিয়ে নতুন প্যারাগ্রাফ শুরু করুন।
- গদ্য রচনা প্রতিটি নতুন যুক্তি বা বিশ্লেষণের ক্ষেত্রে ইন্টার দেওয়া উচিত, যেন বিষয়বস্তুটি আলাদা ও স্পষ্ট হয়।
ইন্টার দেওয়ার নিয়ম
বাংলা আর্টিকেল লেখার সময় কোন একটি নতুন ভাবনা বিষয় বা উপ থিম নিয়ে আলোচনা শুরু করলে ইন্টার দিয়ে নতুন প্যারাগ্রাফ শুরু করুন।
এসইও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল লেখার নিয়ম
বাংলা আর্টিকেল লিখা সময় অবশ্যই এসইও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল লিখতে হবে। সঠিক হেডিং ট্যাগ এসিও কপিরাইটিং এর আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। যেকোনো এসইও অপটিমাইজ থেমে পোস্ট হেডিংগুলো H1 হেডিং ট্যাগ ব্যবহার করতে হবে। পরবর্তী হেডিং এর জন্য H2 হেডিং ব্যবহার করতে হবে। তারপরের গুলোর জন্য H3 হেডিং এবং এভাবেই হেডিংগুলো বাড়তে থাকবে।
ইফেক্টিভ এসইও রাইটিং এর জন্য সঠিক হেডিং ট্যাগ ব্যবহার করা আপনার জন্য খুবই ভালো সিদ্ধান্ত হবে। মূলত আপনি যখন একটি দীর্ঘ পোষ্ট লিখবেন। এসইও গাইডলাইন অনুযায়ী, কিওয়ার্ড ব্যবহার করা উচিত H1,H2,H3........ ট্যাগের মাধ্যমে।
বাংলা আর্টিকেল লেখায় মেটা ডিস্ক্রিপশন এর ব্যবহারের নিয়ম
সার্চ ইঞ্জিন ব্যাংকিং এর জন্য আর্টিকেল লিখায় মেটা ডিস্ক্রিপশন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। মেয়েটা ডিস্ক্রিপশন কে আপনার ব্লক পোষ্টের জন্য সেলস কপি হিসেবে বিবেচনা করা হয়।১৫৬অক্ষরের মধ্যে আপনাকে কিওয়ার্ড সংযুক্ত করতে হবে এবং এমন কিছু বর্ণনা সৃষ্টি করতে হবে যেন সেটা ব্যবহারকারীদের নিকট আক্রমণীয় হয়। বাংলা আর্টিকেল লেখায় মেটা ডিস্ক্রিপশন সংযুক্তি করা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যখনই আর্টিকেল লিখবেন অবশ্যই মেটা ডেসক্রিপশন সংযুক্ত করবেন।
উপসংহার যুক্ত করুন
উপসংহার একটি আর্টিকেলের শেষ অংশ যা আপনার লেখা বিষয় বস্তুকে সুন্দরভাবে সংক্ষিপ্তে একটি পরিষ্কার ধারণা দেয়। উপসংহারে আর্টিকেলের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলো সংক্ষেপে পুনরায় তুলে ধরুন, যাতে পাঠকরা পুরো বিষয়টি সহজে মনে রাখতে পারে। তবে এটি যেন অনুলিপি মনে না হয় বরং, মূল বক্তব্যের সারমর্ম তুলে ধরুন।
পাঠকদেরকে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য উৎসাহিত করুন। এটি হতে পারে আর্টিকেলটি শেয়ার করা, মন্তব্য করা, অন্য একটি প্রাসঙ্গিক পোস্ট পড়া, বা আপনার পণ্য বা সেবার দিকে নজর দেওয়া। যদি আপনি কোন সমস্যার সমাধান নিয়ে আলোচনা করেন, তাহলে উপসংহারের সেই সমাধান কে আরো একবার জোর দিয়ে তুলে ধরুন। একটি ভালো উপসংহার আপনার আর্টিকেলকে শক্তিশালী করে তুলতে পারে এবং পাঠকদের কমেন্টের সাথে সংযুক্ত করতে সাহায্য করে।
কপিরাইট এড়িয়ে চলন
কোন ভাবে কপিরাইট কনটেন্ট ব্যবহার করা যাবে না। সব সময় নিজস্ব ভাষা ধারণায় লেখা তৈরি করুন। কপিরাইট কনটেন্ট ব্যবহার করলে আপনার ওয়েবসাইটের সুনাম ক্ষুন্ন হতে পারে এবং আইনগত সমস্যায় পড়তে পারে। সব সময় নিজস্ব লেখা এবং ছবি ব্যবহার করার চেষ্টা করুন। আপনার নিজের তৈরি করা কনটেন্টে কপিরাইট আইন প্রযোজ্য হয় না, এবং এটি আপনার ওয়েবসাইট বা ব্লগে আরো বিশ্বাসযোগ্য করে তোলে।
যদি নিজে কনটেন্ট তৈরি করা সম্ভব না হয়, তাহলে ক্রিয়েটিভ কমন্স লাইসেন্স যুক্ত ছবি বা অন্যান্য কনটেন্ট ব্যবহার করতে পারেন। ক্রিয়েটিভ কমন্স কনটেন্ট এ কিছু শর্তাবলী থাকতে পারে, যা মেরে চলতে হবে, কর্তৃত্ব প্রদান করা বাণিজ্যিক উদ্দেশ্য ব্যবহার না করা। কপিরাইট লঙ্গন এড়িয়ে চলা কেবল আইনগতভাবে সঠিক নয়, বরং এটি অন্যের মেধা সত্তার প্রতি সম্মান প্রদর্শনের একটি প্রতিফলন।
অনপেজ এসইও
অনপেজ এসইও সঠিকভাবে করলে আপনার আর্টিকেল সার্চ ইঞ্জিন উচ্চ রেঙ্ক পেতে সাহায্য করবে। এর মাধ্যমে সার্চ ইঞ্জিন এবং ব্যবহারকারীরা সহজে ওয়েবসাইটের বিষয়বস্তু বুঝতে পারে। অন পেজ এসইও মূল লক্ষ্য হলো ওয়েব পেজের কনটেন্ট এবং HTML কোড কে এমনভাবে সাজানো যাতে তা সার্চ ইঞ্জিনের জন্য আরও উপযোগী হয়।
অন্টেস এসইও এর গুরুত্বপূর্ণ উপাদান সমূহ যেমন ঃ টাইটেল ট্যাগ, মেটা ডিস্ক্রিপশন, ইউআরএল স্ট্রাকচার, হেডিং ট্যাগ, কন্ট্যান্টের গুণমান, ইমেজ অপ্টিমাইজেশন, পেজ লোডিং স্পিড, মোবাইল ফ্রেন্ডলি ডিজাইন এবং সোশ্যার শেয়ারিং অপশন। অনপেজ এসইও হল একটি ওয়েব পেজকে সার্চ ইঞ্জিন এবং ব্যবহারকারীদের জন্য সহজবোধ্য এবং আকর্ষণীয় একটি পদ্ধতি। এটি সঠিকভাবে প্রয়োগ করলে আপনার ওয়েবসাইটের সার্চ ইঞ্জিন র্যাংকিং উল্লেখযোগ্য ভাবে বৃদ্ধি পাবে।
উপসংহার
উপরের আলোচনা গুলি থেকে আমরা বাংলা আর্টিকেল লেখা নিয়ম সমূহ সম্পর্কে বিস্তারিত জানলাম। বাংলা আর্টিকেল লেখার জন্য আমাদের উপরে নিয়মগুলি মেনে চলতে হবে। আর্টিকেল তাহলে আপনাদের আর্টিকেল আরো মানসম্মত ও আকর্ষণীয় হয়ে উঠবে। আপনার ওয়েবসাইটে ট্রাফিক বাড়বে। নিয়মিত চর্চার মাধ্যমে আপনি ভালো লেখক হয়ে উঠবেন। আসল নিয়ম ও কৌশল মেনে চললে আপনার লেখা শুধু পাঠকের মনোযোগ আকর্ষণ করবে না বরং তাদের জ্ঞানো বৃদ্ধি করবে।
আমার আর্টিকেল লেখার নিয়ম পড়ে যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে বা উপকারে এসে থাকে তাহলে আমাকে কমেন্টে জানাবেন এবং আমার লেখাটি সবার মাঝে শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url