ভাইরাস জ্বরের লক্ষণ ও প্রতিকার

  ভাইরাস জ্বর হলো এমন একটি জ্বর যা ভাইরাস দ্বারা সংক্রমিত হয়ে শরীরের তাপমাত্রার বৃদ্ধি ঘটায়। ভাইরাস জ্বর সাধারণত শ্বাসতন্ত্রের ভাইরাস, ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়া, ইনফ্লুয়েঞ্জা, বা অন্য ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে হতে পারে।

ভাইরাস-জ্বরের-লক্ষণ-ও-প্রতিকার
সাধারণত ঋতু পরিবর্তনের সময় ভাইরাস জ্বরের আশঙ্কা বেশি থাকে। ভাইরাস জ্বর তিন থেকে পাঁচ দিন স্থায়ী হয়। কিছু কিছু ক্ষেত্রে দুই সপ্তাহ পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সম্পন্ন ব্যক্তি, শিশু এবং বয়স্ক ব্যক্তিরা ভাইরাস জ্বরের বেশি আক্রান্ত হন।

পেইজ সূচিপত্র

ভাইরাস জ্বর কি 

মানুষের শরীরের গড় তাপমাত্রা প্রায় 98.6F এই তাপমাত্রার উপরের যে কোন তাপমাত্রায় জ্বর বলে মনে হয়। জ্বর প্রতিনিয়তই একটি ইঙ্গিত দেয় যে আপনার শরীর ব্যাকটেরিয়া বা ভাইরাস সংক্রমনের বিরুদ্ধে লড়াই করছে। একটি ভাইরাস জ্বর একটি অন্তর্নিহিত ভাইরাস অসুস্থতা দ্বারা সৃষ্ট যে কোন জ্বর হিসাবে সংজ্ঞায়িত করা হয়।

 সাধারণত সর্দি থেকে শুরু করে ফ্লু পর্যন্ত মানুষ বিভিন্ন ধরনের ভাইরাস সংক্রমণে আক্রান্ত হতে পারে। অনেক ভাইরাস সংক্রমণ নিম্ন গ্রেড জ্বর সৃষ্টি করে। ভাইরাস জ্বর গুলোর মধ্যে প্রধানত শ্বাসতন্ত্রের ভাইরা স, ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়া, ইনফ্লুয়েঞ্জা শরীরের তাপমাত্রা বাড়াতে পারে। 

উপসর্গ এবং চিকিৎসার বিকল্পগুলি সহ ভাইরাস জ্বর সম্পর্কে আরো জানতে আমার সাথেই থাকুন 

ভাইরাস জ্বরের লক্ষণ সমূহ 

আপনার যদি জ্বর থাকে তবে আপনি নিম্নলিখিত কিছু ভাইরাস জ্বরের লক্ষণ গুলি অনুভব করতে পারেন আসুন নিচে লক্ষণ গুলি আলোচনা করি। 

উচ্চ তাপমাত্রা ঃ শরীরের তাপমাত্রা সাধারণত 103.F থেকে 104F হতে পারে।

গলা ব্যথা ঃ গলা ফুলে যাওয়া ও ব্যথা হতে পারে।

শরীর ব্যথা ঃ সাধারণত মাংসপেশী ও জয়েন্ট গুলোতে অল্প থেকে অতি ব্যথা পর্যন্ত হতে পারে।

মাথা ব্যথা ঃ নিয়মিত মাথা ব্যথা অনুভূত হবে। 

হালকা কাশি ঃ কাশি এবং ঠান্ডা অনুভব করা।

ক্লান্তি বোধঃ খুব বেশি দুর্বলতা এবং ক্লান্তিবোধ হবে।

ক্ষুধা কমে যাওয়া ঃ খোদা কমে যাবে কোন কিছু খেতে ইচ্ছা করবে না। 

মাথা ঘোরা ঃ শরীরকে এতটাই দুর্বল করবে যে মাথা ঘোরা অনুভূত হবে। 

শরীর ঠান্ডা হয়ে যাওয়া ঃ কিছু কিছু ক্ষেত্রে শরীর ঠান্ডা হয়ে যেতে পারে।

ভাইরাস জ্বরের কারণ 

ভাইরাস জ্বরের মূল কারণ হলো ভাইরাস সংক্রমণ। যেমন কাশি এবং হাঁচি। ভাইরাস দ্বারা সংক্রমিত কারো দ্বারা সংস্পর্শ করা হতে পারে এমন পৃষ্ঠ বা বস্তুর সাথে সংস্পর্শে আসা। এই সংক্রমণ গুলি ভাইরাস জ্বরের কারণ। ভাইরাস গুলো মাইক্রোস্কোপিক সংক্রামক এজেন্ট। তারা আপনার শরীরের কোষের মধ্যে সংক্রামিত এবং সংখ্যা বৃদ্ধি করে।

ভাইরাস দ্বারা সংক্রমিত হওয়ার অনেক উপায় রয়েছে যার মধ্যে রয়েছে ঃ

  • দূষিত পানি পানের ফলে ভাইরাসজনিত জ্বর হতে পারে। 
  • সংক্রামিত ব্যক্তির কাছ থেকে কাশির ফটো ফোটা গুলি শ্বাস নেওয়ার সময় ভাইরাস জ্বরের কারণ হতে পারে। 
  • এটি সংক্রামিত ব্যক্তির সাথে পানীয় বা খাবার ভাগ করে নেওয়ার মাধ্যমেও সংক্রমণ হতে পারে। 
  • সিজিনাল ফ্লু ভাইরাস জ্বর সৃষ্টির সবচাইতে বেশি ভূমিকা রাখে।
  • ভাইরাস সংক্রমণ পোকামাকড় এবং প্রাণীদের দাঁড়াও ছড়ায়। যেমন চিকুনগুনিয়া ডেঙ্গু, জিকা, ভাইরাস এবং হলুদ জ্বর হলো ভাইরাস সংক্রমণ যা পোকামাকড় এবং প্রাণের কারণে ছড়িয়ে পড়ে।

ভাইরাস জ্বরের প্রকারভেদ 

ভাইরাস জ্বরের মূল কারণ হলো শরীরে ভাইরাসের আক্রমন। বিভিন্ন ধরনের ভাইরাস শরীরে প্রবেশ করে এবং রোগ সৃষ্টি করে। আসুন এবার ভাইরাস জ্বরের প্রধান কারণগুলি জেনে নিই ঃ

শ্বাসতন্ত্রের ভাইরাসঃ সর্দি কাশি এবং ইনফ্লুয়েঞ্জার মতো রোগ শ্বাসতন্ত্রের ভাইরাস দ্বারা সৃষ্টি হয়। যেমন ঃ রাইনোভাইরাস,অ্যাডনোভাইরাস, ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস।

ডেঙ্গু ভাইরাসঃ এডিস মশার মাধ্যমে ডেঙ্গুভাইরাসের সংক্রমণ থেকে ডেঙ্গু জ্বর হতে পারে যা ভাইরাস জ্বরের একটি উদাহরণ।

চিকুনগুনিয়া ভাইরাস ঃ এডিস মশার মাধ্যমে সংক্রমিত চিকুনগুনিয়া ভাইরাসের কারণে এই জ্বর হয়।এটি শরীরের জয়েন্টে গুলোতে ব্যথা সৃষ্টি করে।

রুবেলা ভাইরা ঃ রুবেলা ভাইরাস বা জার্মান নিজ লজ ভাইরাস সংক্রমণের কারণে জ্বর ত্বকের রেস এবং লিফট নোডে ফোলাভাব হয়।

হেপাটাইটিস ভাইর ঃ হেপাটাইটিস ভাইরাস লিভারের সংক্রমণ ঘটিয়ে জ্বর সৃষ্টি করে। যেমন হেপাটাইটিস এ,বি,সি ইত্যাদি।

রোটা ভাইরাস ঃ শিশুদের মধ্যে এটি ডায়রিয়ার কারণে জ্বর সৃষ্টি করতে পারে। 

ভাইরাস গুলো সাধারণত সংক্রমিত ব্যক্তি থেকে শ্বাস হাসি-কাশির মাধ্যমে বাতাসে ছড়িয়ে পড়ে অথবা সংক্রমণ বস্তুর সংস্পর্শে আসার মাধ্যমে ছড়ায়। সঠিক পরিচ্ছন্নতা এবং প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে অনেক ক্ষেত্রে ভাইরাসের প্রতিরোধ করা যায়। 

 ভাইরাস জ্বরের প্রতিকার 

চলুন আজকে আমরা ভাইরাস জ্বর প্রতিরোধের জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ ব্যবস্থা সম্পর্কে জেনে নেই। যা ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে সহায়ক হতে পারে। যেমনঃ

হাত ধোয়া ঃ নিয়মিত সাবান ও পানি দিয়ে হাত ধোয়া ভাইরাসের সংক্রমণ রোধ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি পদক্ষেপ। বিশেষত খাবার আগে নাক মুখ স্পর্শ করার আগে ও পরে, এবং বাথরুম ব্যবহার করার পরে হাত জরুরিভাবে ধোয়া উচিত।

মুখ ও নাক ঢেকে রাখাঃ হাঁচি বা কাশির সময় টিস্যু বা কোনই দিয়ে মুখ ঢেকে রাখা উচিত, যাতে করে ভাইরাস বাতাসে ছড়িয়ে না পড়ে। ব্যবহৃত টিস্যু সরাসরি ডাস্টবিনে ফেলে দেওয়া উচিত।

ভাইরাসজনিত তো এলাকায় ভ্রমণ এড়ানোঃ যে সমস্ত এলাকায় ভাইরাস সংক্রমণের প্রাদুর্ভাব রয়েছে, ওই সমস্ত এলাকা ভ্রমণ না করাই উচিত। 

বিশ্রাম ও সুষম খাদ্য গ্রহণ ঃ শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য পর্যাপ্ত বিশ্রাম নেওয়া এবং সুষম খাদ্য গ্রহণ করা অতীব জরুরী। পুষ্টিকর খাবার যেমন ফল, শাকসবজি, প্রোটিন ইত্যাদি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।

বেশি বেশি পানি পান করা ঃ শরীরকে ডিহাইড্রেশন হতে না দেওয়া এবং শরীরকে হাইডেড রাখা ভাইরাস জনিত সংক্রমণ প্রতিরোধে বহু অংশে সাহায্য করে।

পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকা ঃ আমাদেরকে ব্যক্তিগত ও পারিপার্শ্বিক পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতে হবে। নিয়মিত জীব বানানোর সুখ দিয়ে বাড়িঘর পরিষ্কার করা এবং ব্যবহৃত জিনিসপত্র জীবনে মুক্ত করা প্রয়োজন। 

মানুষের ভিড় এড়িয়ে চলা ঃ বিশেষ করে ভাইরাস সংক্রমণের সময় যেকোন ভিড় যুক্ত স্থান এড়িয়ে চলা উচিত। এর ফলে ভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি কমে। 

মশা ও কামড় থেকে দূরে থাকা ঃ ডেঙ্গু এবং চিকুনগুনিয়ার মতো ভাইরাস জ্বর গুলি মশার মাধ্যমে ছড়ায় তাই মশারি ব্যবহার মশা তাড়ানোর স্প্রে এবং পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন পরিবেশ বজায় রাখা জরুরী।

টিকা গ্রহণ ঃ কিছু ভাইরাস রোগ প্রতিরোধে জন্য টিকা পাওয়া যায় যেমন ইনফ্লুয়েঞ্জা, হেপাটাইটিস ইত্যাদি চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে নির্ধারিত টিকা গ্রহণ করা উচিত।

উপরোক্ত পদক্ষেপ গুলো যদি আমরা মেনে চলতে পারি তাহলে ভাইরাস জ্বর প্রতিরোধের সম্ভাবনা অনেকটাই বৃদ্ধি পায়। 

কিভাবে ভাইরাস জ্বর নির্ণয় করবেন

ভাইরাস জ্বর শনাক্ত করা একটি জটিল প্রক্রিয়া, কারণ এটি ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের সাথে অনেক সাধারণ উপসর্গ ভাগ করে নেয়। ভাইরাস এবং ব্যাকটেরিয়া উভয় রূপয় প্রায় একই উপসর্গ দেখায়। ভাইরাস জ্বর নির্ণয় করার জন্য একজন ডাক্তার সমাগত ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণকে বাতিল করে দেবেন।

কিভাবে-ভাইরাস-জ্বর-নির্ণয়-করবেন
তারা আপনার উপসর্গ এবং চিকিৎসা ইতিহাস পর্যালোচনা করবে, সেইসাথে অনুজীব পরীক্ষা করার জন্য নমুনা সংগ্রহ করবেন। যদি আপনার গলা ব্যথা হয়, তারা স্টেপ থ্রোট সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়া পরীক্ষা করার জন্য একটি সওয়াব পরীক্ষা করতে পারেন। নমুনা পরীক্ষা নেতিবাচক হলে সম্ভবত আপনি একটি ভাইরাস জ্বরে আক্রান্ত আছেন। তারা ভাইরাস সংক্রমণের লক্ষণ গুলি দেখতে রক্ত বা অন্যান্য শারীরিক তরলও আঁকতে পারে, যেমন উচ্চ শ্বেত রক্ত কোষের সংখ্যা।

ভাইরাস জ্বরের চিকিৎসা 

ভাইরাস জ্বর মূলত ওষুধের দ্বারাই চিকিৎসা করা হয়। বেশিরভাগ ভাইরাস জ্বরের কোন নির্দিষ্ট থেরাপির প্রয়োজন হয় না। ব্যাকটেরিয়াজনিত অসুস্থতার বিপরীতে, তারা অ্যান্টিবায়োটিকের প্রতিক্রিয়া করে না। তবে লক্ষণ অনুযায়ী কিছু ব্যবস্থা নেওয়া হয়

বিশ্রাম ঃ পর্যাপ্ত বিশ্রাম নেওয়া খুবই জরুরী যাতে শরীর ভাইরাসের সাথে লড়াই করতে পারে।

তরল গ্রহণ ঃ‌ শরীরে পানি শূন্যতা এড়ানোর জন্য প্রচুর পরিমাণে পানি,ফলের রস,এবং তরল খাবার গ্রহণ করুন।

জ্বর কমানোর ঔষুধ ঃ চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী প্যারাসিটামল জাতীয় ওষুধ সাধারণত জ্বর ও ব্যথা কমানোর জন্য দেওয়া হয়।তবে আইবুপ্রোফেন বা অ্যাসপিরিন ব্যবহার করার যেতে পারে।

পুষ্টিকর খাদ্য ঃ রোগীর জন্য পুষ্টিকর এবং সহজে হজম যজ্ঞ খাদ্য নিশ্চিত করতে হবে, যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়তে সহায়ক। 

বিশেষ পরিস্থিতিতে চিকিৎসা ঃ যদি ডেঙ্গু চিকুনগুনিয়া বা ইনফ্লুয়েঞ্জা মত নির্দিষ্ট ভাইরাস সনাক্ত হয়।তবে সে অনুযায়ী চিকিৎসা দেওয়া হয় যেমন ডেঙ্গু জ্বরের ক্ষেত্রে রক্তের প্লাটিলেট পরীক্ষা এবং সেভাবে চিকিৎসা প্রদান করা হয়।

এন্টিবায়োটিক ব্যবহার ঃ ভাইরাস সংক্রমণের জন্য এন্টিবায়োটিক ব্যবহার করা হয় না,কারণ এটি ভাইরাসের উপর কাজ করে না।তবে যদি কোন ব্যাকটেরিয়াল সংক্রমনের ঝুঁকি থাকে তাহলে চিকিৎসক অ্যান্টিবায়োটিক দিতে পারে।

ভাইরাস জ্বরের সময় করণীয় 

  • ডিহাইড্রেশন প্রতিরোধ এবং ইলেকট্রোলাইট ভারসাম্য বজায় রাখতে প্রচুর পরিমাণে তরল পান করুন। 
  • যথাযথ বিশ্রাম নিন 
  • ব্যথা বা অসস্তি এরাতে নির্ধারিত সময়ের ব্যবধানে আপনার জ্বর বা ব্যথা নাশক ওষুধ খান। 
  • স্বাস্থ্যকর এবং হালকা খাবার খান যা হজম করা সহজ এবং পুষ্টিকর। 
  • ভাইরাসের ভার দ্রুত সাফ করার জন্য আপনার অ্যান্টিভাইরাস ওষুধকে ধর্মীয়ভাবে গ্রহণ করুন।
  • আপনার খাদ্য তালিকায় ভিটামিন সি,জিংক, মধু ইত্যাদি যোগ করুন।
  • ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যবিধি বজায় রাখুন এবং আপনার চারপাশ পরিষ্কার রাখুন। 

ভাইরাস জ্বরের সময় যা করা উচিত নয়

  • ঔষধ এবং ডোজ সম্পর্কে সঠিক চিকিৎসা জ্ঞান ছাড়া নিজের ইচ্ছা মত ওষুধ খাবেন না, যার ফলে ক্ষতিকর পরিনিতি হতে পারে এবং রোগ আরো বাড়তে পারে। 
  • আপনার ডাক্তার দ্বারা নির্ধারিত না হলে অ্যান্টিবায়োটিক গ্রহণ করবেন না।অ্যান্টিবায়োটিকের অপ্রয়োজনীয় ব্যবহার এন্টিবায়োটিক প্রতিরোধের দিকে পরিচালিত করে এবং পরবর্তী সময়ে আপনি সংক্রমনে আক্রান্ত হলে আরো শক্তিশালী অ্যান্টিবায়োটিক এর প্রয়োজন হতে পারে।
  • খুব ঠান্ডা বা খুব গরমের মত চরম তাপমাত্রায় থাকবেন না,কারণ চরম তাপমাত্রা আপনার শরীরকে আরও সংবেদনশীল করে তোলে এবং ঠান্ডা বা ঘামের দিকে নিয়ে যায়।
  • ঠান্ডা লাগলে কাপড় বা কম্বলের অনেক স্তর ব্যবহার করবেন না। 
  • আপনার রুমাল,জামাকাপড়,তোয়ালে,খাবার বা পানীয় শেয়ার করবেন না কারণ এটি আপনার সংস্পর্শে থাকা লোকদের সংক্রমনের আরো বিস্তার ঘটাবে।

শেষ কথা 

বেশিরভাগ সংক্রামক জ্বর সামান্য হয় এবং গুরুতর লক্ষণ বা উচ্চ জ্বর ছাড়াই সেরে যায়। আপনার শরীরের তাপমাত্রা 103F বা তার বেশি হলে ডাক্তারের পরামর্শ নিন। একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন। শিশুর দুই সপ্তাহ পর্যন্ত ভাইরাস জ্বর থাকলেও শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ পরামর্শ নেওয়া যেতে পারে,এর অর্থ হতে পারে অতিরিক্ত সংক্রমণ হয়েছে।

 আপনি যদি কঠিন উপসর্গের সম্মুখীন হন তবে শ্বাসকষ্ট,বুকে ব্যথা বা চরম মাথার ব্যথার ক্ষেত্রে অবশ্যই ডাক্তারের সাথে যোগাযোগের করা উচিত এবং যদি উপসর্গটি বমি বমি ভাব বা বমি, ডায়রিয়া,ফুসকুড়ি যা আরো খারাপ হচ্ছে খিচুনি বিভ্রান্তি এবং গুরুতর ডিহাইড্রেশন করা উচিত এবং সঠিক নির্ণয়ের জন্য একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা উচিত।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url