মানসিক চাপ কমানোর ৮ টি কার্যকরী কৌশল

মানসিক চাপ আজকের দ্রুতগতির জীবনে একটি আমাদের সাধারণ সমস্যা হয়ে উঠেছে। কাজের চাপ, ব্যক্তিগত সম্পর্ক, স্বাস্থ্য সমস্যার পাশাপাশি আধুনিক জীবন যাত্রার নানা তাড়া এবং সামাজিক চাপ মানুষের মানসিক অবস্থাকে প্রভাবিত করছে। ফলে শারীরিক অসুস্থতা,মানসিক উদ্বেগ,এবং হতাশা সৃষ্টি হচ্ছে।
এই চাপ মোকাবেলা করার জন্য কিছু কার্যকর কৌশল রয়েছে। যা আমাদের মানুষিক শান্তি ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করতে পারে। মানসিক চাপ কমানোর জন্য এমন কিছু অভ্যাস ও কৌশল রয়েছে যা আমরা প্রতিদিনের জীবনে সহজে প্রয়োগ করতে পারবো। এই কৌশলগুলো আমাদের মনে শান্তি বজায় রাখতে,শারীরিকভাবে সুস্থ থাকতে এবং জীবনের প্রতি ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি করতে সাহায্য করবে।

চলুন আমরা জেনে নিই এমন ৮ কৌশল সম্পর্কে যা আপনার মানসিক চাপ কমাতে সহায়তা করবে।

পেইজ সূচিপত্র-মানসিক চাপ কমানোর ৮ টি কার্যকরী কৌশল

মানসিক চাপ কি

বন্ধুরা আসুন যেনে নিই মানুষিক চাপ কি,মানসিক চাপ হচ্ছে এক ধরনের মানসিক পরিস্থিতি যেখানে ব্যক্তির চাহিদা ও ক্ষমতার মধ্যে দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হয়। যখন আমরা কোন পরিস্থিতির মোকাবেলা করতে অক্ষম বোধ করি,তখনই তৈরি হয় এই মানসিক চাপ যা এক মুহূর্তেই একজন মানুষের জীবনকে এলোমেলো করে দিতে পারে।

আরো পড়ুন ঃশিশুদের কষ্ট কাঠিন্য সহজে দূর করুন ঘরোয়া উপায়

মানসিক চাপ সাধারণত তখন অনুভব হয়, যখন ব্যাক্তি কোন সমস্যার সমাধান বা পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে অক্ষম হন, বা পরিস্থিতি তার নিয়ন্ত্রণে বাইরে চলে যায়। এটি হতে পারে বাহ্যিক পরিস্থিতি যেমন কাজের চাপ,পারিবারিক সমস্যা,আর্থিক অনিশ্চয়তা, বা ব্যক্তির নিজের অনুভূতি ও চিন্তা ভাবনার ফলস্বরুপ, আত্মবিশ্বাসের অভাব, উদ্বেগ বা হতাশা।

মানসিক চাপের কারণ

আসুন আমরা জেনে নিই একজন মানুষ আসলে ঠিক কি কি কারণে মানসিক চাপে ভুকতে পারে।তবে যে সকলের জন্য সবগুলো কারণ একত্রে পরী লক্ষিত হবে বিষয়টা সবসময় এমন নাও হতে পারে। এক্ষেত্রে কারো কম বেশি হতে পারে। প্রত্যেকটা মানুষের মানসিক চাপ মূলত দুটি কারণে হয়ে থাকে।১. অভ্যন্তরীণ কারণ, ২. বাহ্যিক কারণ তাহলে চলুন কারণগুলি বিস্তারিত জেনে নিই।

অভ্যন্তরীণ কারণ ঃ
  •  দুশ্চিন্তা থেকে মানসিক চাপ সৃষ্টি হতে‌ পারে।
  • হিনমন্যতা বা নিজেকে ছোট করে দেখার জন্য হতাশা সৃষ্টি করে যা মানুষিক চাপের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
  • বিষন্নতা মনকে খারাপ করে ফেলে যা মানসিক চাপ শতগুনে বাড়িয়ে দেয়।
আরো কিছু শারীরিক কারণ আছে-ঘুমের সমস্যা, ওজন হ্রাস,ক্ষুধা মন্দা, মাথা ব্যথা সহ আরো অনেক শারীরিক কারণ। 

বাহ্যিক কারণ ঃ 
  • পারিবারিক সম্পর্কে খারাপ অবস্থা ও কলহ।
  • কর্মক্ষেত্র বা অতিরিক্ত কাজের চাপ।
  • বেকারত্বের দুশ্চিন্তা।
  • অর্থনৈতিক অসচ্ছলতা।
সম্পর্কে জড়িত চাপ বিচ্ছিন্ন সম্পর্কে,অবনীত ঝগড়া বিবাদ ইত্যাদি।

মানুষিক চাপের লক্ষণসমূহ ঃ
মানসিক চাপ কমানোর কৌশল সম্পর্কে জানার আগে এর লক্ষণ গুলি ভালোভাবে বুঝতে হবে,তবেই মানসিক চাপ কমানো সম্ভব। এজন্য আমরা তিনটি মাধ্যমে লক্ষ্য করতে পারি। এগুলোর মধ্যে হচ্ছে শারীরিক লক্ষণ, মানসিক লক্ষণ, আচরণগত লক্ষণ, আসুন একটু বিস্তারিত জেনে নেই। 

শারীরিক লক্ষণসমূহ ঃ একজন মানুষ যখন মানসিক চাপ অনুভব করেন তখন এই লক্ষণগুলি পরিলক্ষিত হতে পারে 
  • মাথা ব্যথা
  • মাথা ঘোরা
  • অসুস্থতায় ভোগা
  • নিজে নিজেই অস্বস্তি বোধ করা
  • ঘুম কমে যাওয়া
  • খাবার খেলে ঠিক মত হজম না হওয়া
  • অতিরিক্ত ওজন বেড়ে যাওয়া অথবা কমে যাওয়া
মানসিক লক্ষণসমূহ ঃ একজন ব্যক্তির মানসিক চাপ যখন তীব্র হয় তখন সাধারণত নিম্ন লিখিত বিষয়গুলি পরিলক্ষিত হতে পারে।
  • উদ্যোগ সৃষ্টি হওয়া
  • মনে মনে ভয় তৈরি হবে
  • বিরক্তির ভাব আশা
  • অল্পতেই রেগে যাওয়া
  • হতাশা
  • অসহায় বোধ করা
  • অনিশ্চয়তায় ভোগা
  • সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলা
  • নিঃসঙ্গতা অনুভূত হওয়া
আচরণগত লক্ষণ সমূহ ঃ বেশিরভাগ সময় দেখা যায় মানসিক চাপে আক্রান্ত ব্যক্তিরা নিম্নলিখিত আচরণ সমূহ করে থাকে। 
  • ধূমপান করা
  • অ্যালকোহল বা ড্র াগ আসক্ত হওয়া
  • অতিরিক্ত খাওয়া অথবা খাওয়া কমিয়ে দেওয়া
  • ঠিকমতো ঘুম না হওয়া
  • সামাজিক বিচ্ছিন্নতা তৈরি হওয়া বা সমাজ থেকে নিজেকে আড়াল করার চেষ্টা করে।
উপরোক্ত আলোচিত লক্ষণ গুলি ছাড়াও ব্যক্তি বিশেষে স্বভাব অনুযায়ী আরো অনেক লক্ষণ দেখা দিতে পারে।

মানসিক চাপ কমানোর ৮ টি কার্যকারী কৌশল

এখন পর্যন্ত আমরা মানসিক চাপের লক্ষণ কারণগুলি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছে, এবং উপরোক্ত আলোচনা থেকে পরিষ্কারভাবে মানসিক চাপের বিষয়ে জানা গেছে। তবে বন্ধুরা আপনাদের আত্মীয়-স্বজন বা কারো মধ্যে যদি এইরকম লক্ষণ কিংবা মানসিক চাপের মধ্য দিয়ে কেউ যায় সে ক্ষেত্রে আপনি চাপ কমানোর কৌশল গুলি অনুসরণ করায় উত্তম হবে। তাহলে এবার আসুন জেনে নেয়া যাক মানসিক চাপ কমানোর ৮ টি কার্যকরী কৌশল সম্পর্কে

মানসিক চাপ কমাতে ধর্মীয় কাজে মনোযোগ দিন

 আমরা আমাদের সৃষ্টিকর্তাকে আমাদের মনের কথা নির্দ্বিধায় প্রকাশ করতে পারি কারণ তিনি আমাদের সৃষ্টি করেছেন। ধর্মের প্রতি বিশ্বাসের দিক থেকে আমরা প্রার্থনার মাধ্যমে নিজেদের সমস্যার কথা আমাদের সৃষ্টিকর্তাকে জানানোর মাধ্যমে নিজের ভিতর প্রশান্তি নিয়ে আসতে পারি।

আমাদের যে সমস্যাগুলো নিয়ে মানসিক চাপ অনুভূত হচ্ছে সেগুলি প্রার্থনার মাধ্যমে মুক্তির দোয়া করতে পারি সৃষ্টিকর্তার কাছে। যে যে ধর্মের আছেন তারা নিজ নিজ ধর্মের নিয়ম মেনে প্রার্থনা ও ধর্মচর্চা করুন তাহলে সহজেই মানসিক শান্তি পাবেন।

মানসিক চাপ কমাতে গভীর শ্বাস-প্রশ্বাস নিন

গভীর শ্বাস-প্রশ্বাস হলো একটি সহজ ও প্রাকৃতিক পদ্ধতি যা শরীর ও মনকে শীতল এবং শান্ত করতে সাহায্য করে। এটি সাধারণত শরীরের স্নায়ুতন্ত্রকে শান্ত করার জন্য ব্যবহৃত হয় এবং মানসিক চাপ কমানো উদ্যোগ এবং মানসিক চাপ হ্রাস করার একটি কার্যকরী কৌশল হিসেবে প্রাচীন ও বহুল পরিচিত। গভীর শ্বাস-প্রশ্বাস মানসিক চাপের প্রভাব কমাতে সাহায্য করে এবং মস্তিষ্কে সুখের হরমোন নিঃসৃত হতে সহায়তা করে। আরো পড়ুন ঃমাথার চুল পড়ার কারণ ও প্রতিকার
গভীর শ্বাস প্রশ্বাস মস্তিষ্কের উদ্যোগ ও চিন্তা দূর করে। গভীর শ্বাস নেওয়ার সময় পেশি ও শরীর শিথিল হয়ে যায়, যার ফলে ক্লান্তি ও দুশ্চিন্তা কমে যায়। গভীর শ্বাস-প্রশ্বাসের ফলে মনকে একা গ্রহণ করার ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় যা পড়াশোনা কাজ বা অন্য কোন কাজে মনোযোগ বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।

যেসব মানুষ রাত্রে অনিদ্রায় ভোগে গভীর শ্বাস-প্রশ্বাস তাদের ঘুমের মান উন্নত করে তুলতে সাহায্য করে। যার ফলে শরীর শীতল হয় এবং ঘুমানোর জন্য উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি হয়।
গভীর শ্বাস প্রশ্বাস হলো একটি সহজ কিন্তু অত্যন্ত কার্যকর কৌশল যা মানসিক চাপ কমাতে শরীর ও মনকে শিথিল করতে এবং মনোযোগ বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।

মানসিক চাপ কমাতে পোষা প্রাণীর সাথে সময় কাটানো

মানসিক চাপ কমানোর একটি অত্যন্ত কার্যকর ও আনন্দদায়ক পদ্ধতি হচ্ছে পোষা প্রাণীর সাথে সময় কাটানো। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে, প্রাণীদের সাথে সময় কাটানোর মধ্য দিয়ে হিউম্যান বডিতে কয়টিছল নামক হরমোন নিঃসৃত হয়,যা মানসিক চাপ কমাতে অত্যন্ত কার্যকরী। পোষা প্রাণীর মধ্যে কুকুর ও বিড়ালের সঙ্গে থাকলে মানুষের একাকীত্ব ও অবসাদ কমে বলে গবেষকরা ধারণা করেছে।

মানসিক চাপ কমাতে হাঁটতে বেরিয়ে পড়ুন

মানসিক চাপ কমানোর একটি সহজ প্রাকৃতিক এবং অত্যন্ত কার্যকারী কৌশল হচ্ছে হাঁটাহাঁটি করা। হাটা শুধুমাত্র শারীরিক স্বাস্থ্য উন্নত করে না, বরং এটি মানসিক সুস্থতার জন্য অত্যন্ত কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। আধুনিক জীবনে যেখানে বেশিরভাগ সময়ে আমরা ডিজিটাল যন্ত্রে আবদ্ধ থাকি, বা অফিসের কাজে ব্যস্ত থাকি, সেখানে কিছু সময় বাইরে হাঁটতে বের হওয়া আমাদের শরীর ও মনকে সতেজ করে তোলে। 

হাটা আমাদের শরীরের মধ্যে এন্ডোরফিন হরমোন নিঃসৃত করে যা মানসিক চাপ এবং উদ্দেক কমাতে সাহায্য করে। একঘেয়েমি বা অতিরিক্ত চিন্তা থেকে মুক্তি পেতে হাঁটাহাঁটি একটি দারুন উপায়। একটি সম্পূর্ণ শারীরিক ব্যায়াম যা হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখে, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে, ওজন কমাতে সাহায্য করে এবং শরীরের জোর ও স্থিতিশীলতা বৃদ্ধি করে। একা হাঁটার চেয়ে বন্ধু বা পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে হাটা আরো আনন্দ দায়ক হতে পারে, এটি আপনার মানসিক চাপ কমানোর পাশাপাশি সামাজিক সম্পর্ক দৃঢ় করতে সহায়তা করে। তাই অবশ্যই মানসিক চাপ কমাতে প্রতিদিন কিছু সময় কারো সাথে হাঁটার চেষ্টা করুন।

মানসিক চাপ কমাতে প্রিয় মানুষের সাথে যোগাযোগ করুন

প্রিয় মানুষের সাথে যোগাযোগ বা সম্পর্ক করা মানসিক চাপ কমানোর একটি অত্যন্ত কার্যকরী কৌশল। সামাজিক সংযোগ আমাদের মানসিক ও শারীরিক সুস্থতার জন্য অপরিহার্য। যখন আমরা আমাদের প্রিয় মানুষের সাথে কথা বলি, বা তাদের সঙ্গে সময় কাটায় তখন আমাদের মনে হয় এক ধরনের প্রশান্তি আসে, যা মানসিক চাপ কমাতে অত্যন্ত কার্যকরী। 

প্রিয় মানুষের সাথে যোগাযোগের মাধ্যমে আমরা একে অপরকে সমর্থন প্রদান করতে পারি, যা মানসিক চাপের অনুভূতি কমায়, এবং আত্মবিশ্বাস বাড়ায়। বন্ধুবান্ধব পরিবার কিম্বা প্রিয় মানুষদের সান্নিধ্যে থাকা, আমাদের জীবনের কঠিন সময় গুলো সহজ করে তুলতে পারে। তারা আমাদের জীবনের কঠিন মুহূর্তের সহায়তা প্রদান করে, এবং আমাদের ভিতরে শক্তি ও আত্মবিশ্বাসকে বাড়িয়ে তোলে ফলে মানসিক চাপ কমে যায়।

মানসিক চাপ কমাতে ভ্রমণ করুন

ভ্রমণের মাধ্যমে মানসিক চাপ কমানো একটি অত্যন্ত শক্তিশালী ও কার্যকরী উপায়। আপনি যখন নতুন জায়গায় ভ্রমণ করবেন, তখন আপনার মন এবং শরীর উভয় এক ধরনের বিশ্রাম এবং উত্তেজনা অনুভব করে, ভ্রমণ শুধু শরীরের জন্য ভালো তা নয়, এটা মানসিক স্বাস্থ্যকে নতুন করে চাঙ্গা করে তুলতে সহায়তা করে।

জীবনের অতিরিক্ত চাপ দুশ্চিন্তা এবং একঘেয়েমি থেকে মুক্তি পেতে, একটু সময়ের জন্য হলেও রুটিন থেকে বেরিয়ে নতুন জায়গায় যাওয়ার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ভ্রমণ আপনার চিন্তা ও দৃষ্টি শক্তিকে প্রসারিত করে তুলবে। নতুন অভিজ্ঞতা লাভের সুযোগ করে দিবে এবং মানসিক শান্তি আনবে। ভ্রমণ শুধু বিনোদন নয়, এটি নতুন শিক্ষা এবং অভিজ্ঞতা প্রদান করে। ভ্রমণের মাধ্যমে আপনি নতুন ভাবনা ও ধারণা অর্জন করতে পারেন। ভ্রমণ আপনার চিন্তা ধারা কে প্রশস্ত করে এবং কাজের চাপ থেকে মুক্তির দিতে পারে।

মানসিক চাপ কমাতে নিজের পছন্দের কাজ গুলি করুন

মানসিক চাপ কমানোর একটি অত্যন্ত কার্যকর ও গুরুত্বপূর্ণ কৌশল হল নিজের পছন্দের কাজ গুলি করা। যখন আমরা আমাদের প্রিয় কাজগুলো করি, তখন আমাদের মস্তিষ্ক এবং শরীরের মধ্যে এক ধরনের আনন্দ এবং প্রশান্তির অনুভূতি তৈরি হয়, যার ফলে আমাদের মানসিক চাপ অনেকাংশেই কমে যায়। নিজের পছন্দের কাজ আমাদের অভ্যন্তরীণ সুখের অনুভূতি জাগ্রত করে, এবং আমাদের জীবনের প্রতি ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি করতে সাহায্য করে থাকে।


যখন আপনি আপনার প্রিয় কাজটি সফলভাবে করেন, তখন আপনার আত্মবিশ্বাস বাড়ে বিশেষত যদি সেই কাজটি সৃজনশীল উদ্ভবনে বা আপনাকে একটি নির্দিষ্ট লক্ষ অর্জনে সহায়তা করে, তখন আপনার আত্মবিশ্বাস মানুষিক প্রশান্তি বৃদ্ধি পায় ফলে মানসিক চাপ কমে যায়। পছন্দের কাজগুলো করা মানসিক চাপ কমানোর একটি শক্তিশালী ও আনন্দদায়ক কৌশল। যখন আপনি আপনার প্রিয় কাজটি করেন, তখন আপনি একটি মানসিক বিশ্রাম পান, যা আপনাকে প্রশান্তি এবং সুখ দেয়।

মানসিক চাপ কমাতে যোগব্যায়াম করুন

মানসিক চাপ কমাতে যোগব্যায়াম একটি অত্যন্ত কার্যকারী বিষয়। যোগব্যায়াম করা শরীর এবং মনের জন্য অত্যন্ত উপকারী। এটি মানসিক চাপ কমাতে,মনোযোগ বৃদ্ধি করতে, এবং শারীরিক স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে সাহায্য করে থাকে। কিছু সাধারণ যোগব্যায়াম আছে যা অনুসরণের মাধ্যমে আপনি আপনার মানসিক চাপ কমাতে পারেন। তবে যোগ ব্যায়াম শুরু করার আগে সবসময় শরীর ক্ষমতা অনুযায়ী আসন বেছে নিন এবং ধীরে ধীরে অনুশীলন করুন, নিয়ম মেনে। তাহলে অতি দ্রুত মানসিক চাপ কমতে পারে আপনার।

মানসিক চাপ কমানোর ব্যায়াম সমূহ উপরোক্ত আলোচনা ছাড়াও মানসিক চাপ কমানোর কৌশল হিসেবে ব্যায়াম সব সময় ভালো একটি পদ্ধতি। ব্যায়াম যেমন মানসিক চাপ কমায় ঠিক তেমনি শারীরিক দিক থেকেও উন্নতি সাধন করে। আসুন বন্ধুরা এবার জেনে নেয়া যাক, কিছু শারীরিক ব্যায়াম সম্পর্কে যা মানসিক চাপ কমাতে অত্যন্ত কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে।

  • হাটাহাটি করা
  • প্রতিনিয়ত সাইক্লিং করা
  • নিয়মিত জগিং করা
  • নিয়মিত ইয়োগা করা
  • এবং নিয়মিত মেডিটেশন করা

শেষ কথা

বন্ধুরা আমি আশা করছি যে উপরোক্ত আলোচনার মাধ্যমে মানসিক চাপ কমানোর উপায় সম্পর্কে বেশ ভালো ধারণা পেয়েছেন। মানসিক চাপ হল এমন একটা রোগ যা ছোট বড় সকলের মধ্যে দেখা দিতে পারে যে কোন সময় যে কোন বয়সেই। তাই কোন ব্যক্তির মানসিক চাপকে অবজ্ঞা না করে সমস্যা সমাধানে কাজ করুন।


আমার উপরোক্ত এই ৮ টি কার্যকরী কৌশল অনুসরণ করুন এবং যদি মানসিক চাপের মাত্রা বেড়ে যায়, তবে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন। তবে আমাদের শারীরিক সুস্থতার পাশাপাশি মানসিক সুস্থতা সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ বেঁচে থাকা জন্য। সবাই সুস্থ থাকুন ভালো থাকুন, আমার এই পোস্টটি যদি কারো ভালো লাগে পরিচিতদের মধ্যে শেয়ার করুন।










এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url