দিনে কোন সময় রোদ পোহালে শরীরে তৈরি হবে বেশি ভিটামিন ডি
আপনি কি জানেন দিনে কোন সময় রোদে পোহালে শরীরের সবচাইতে বেশি ভিটামিন পাই। যদি
না জেনে থাকেন তাহলে আজকের আর্টিকেলে আমরা আলোচনা করব দিনের কোন সময় রোদ পোহালে
শরীরে সবচাইতে ভালো ভিটামিন পাই।
মনে রাখবেন ভিটামিন ডি এর সব থেকে বড় উৎস হলো সূর্যালোক। ত্বকের উপর
সুযরশ্নি এসে পড়লেই এই ভিটামিন ডি শরীরে তৈরি হবে,চলুন তাহলে জেনে নিই
কোন সময় শরীরে সবচাইতে ভালো ভিটামিন ডি তৈরি হবে রোদ পোহালে।
সূচিপত্র ঃদিনে কোন সময় রোদ পোহালে শরীরে তৈরি হবে বেশি ভিটামিন ডি
- কোন সময় রোদ পোহালে শরীরে ভিটামিন ডি তৈরি হবে
- ভিটামিন ডি শরীরের কি কাজে লাগে
- ভিটামিন ডি তৈরি জন্য আদর্শ সময়
- সূর্য থেকে ভিটামিন ডি পাওয়ার জন্য রোদ পোহাবেন যেভাবে
- শিশুদের জন্য রোদ পোহানোর উপযুক্ত সময়
- কোন সময়ে রোদ পোহালে ক্ষতি হতে পারে
- অতিরিক্ত রোদে থাকার ঝুঁকি
- ভিটামিন ডি এর ঘাটতি লক্ষণ
- শেষ কথা ঃদিনে কোন সময় রোদ পোহালে শরীরে তৈরি হবে বেশি ভিটামিন ডি
কোন সময় রোদ পোহালে শরীরে ভিটামিন ডি তৈরি হবে
সূর্যের আলো ভিটামিন ডি এর প্রাকৃতিক উৎস। মানুষের সুস্থতার জন্য ভিটামিন টি
অপরিহার্য। আমরা রোড থেকে প্রয়োজনে ভিটামিন টি সহজে গ্রহণ করতে পারি।ভিটামিন
ডি আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি পুষ্টি উপাদান।এটি হাড় শক্ত
রাখার পাশাপাশি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
ভিটামিন ডি মূলত সূর্যের আলট্রা ভায়োলেট বি রোশনি থেকে আমাদের ত্বকে
তৈরি করে। তবে ভিটামিন ডি তৈরির জন্য সঠিক সময় রোদ পোহানো জরুরী। চলুন এবার
জেনে নেয়া যাক কোন সময় রোদ পোহালে সবথেকে বেশি ভিটামিন ডি শরীরে তৈরি হয়।
আরো পড়ুন ঃসোনা পাতা খাওয়ার ১০ টি উপকারিতা ও অপকারিতা জানুন
ভিটামিন ডি শরীরের কি কাজে লাগে
আমাদের শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন ডি প্রয়োজনে লাগে, তা দিয়ে পটাশিয়াম
ম্যাগনেসিয়াম ও ক্যালসিয়াম তৈরি হয়। তাই ভিটামিন ডি কে বলা হয় সানসাইন
ভিটামিন। রোদের সংস্পর্শে এলে ত্বকে থাকা কোলেস্টরেল দিয়ে তৈরি হয় ভিটামিন ডি।
যাদের বয়স কম শরীরে ভিটামিন ডি এর অভাবে তারা অবসাদগ্রস্থ হয়ে থাকেন।
যাদের শরীরে ভিটামিন ডি এর অভাব রয়েছে তারা অল্পতেই ক্লান্ত হয়ে যায়।
মানুষের বয়স যত বাড়বে তত শরীরের ভিটামিন ডি তৈরীর ক্ষমতা কমতে থাকবে। এতে করে
বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে হাড় ক্ষয়ের মতো রোগ আমাদের শরীরকে আক্রান্ত করে।
বয়স বাড়তে শুরু করার পর তাই সারাক্ষণ বাড়িতে বসে না থেকে নিয়মিত গায়ে রোদ
লাগাতে হবে।
ভিটামিন ডি তৈরি জন্য আদর্শ সময়
সকাল দশটার আগে এবং বিকেল তিনটার পরে রোদ পোহানো সবচাইতে উপযুক্ত। কারণ এই
সময়ে সূর্যের রশ্মি তীব্র হয় না এবং UVB রশ্মি যথেষ্ট পরিমাণে উপস্থিত
থাকে।
- সকাল সাতটা থেকে নয়টা এই সময় UVB রশ্মি ত্বকে পৌঁছায় এবং ত্বক ভিটামিন ডি তৈরি করতে পারে।
- দিনে ১০-১৫ মিনিট রোড পোহালে যথেষ্ট তবে গায়ের রং এবং ত্বকের ধারণ ভেদে সময় কিছুটা কম বেশি হতে পারে।
সূর্য থেকে ভিটামিন ডি পাওয়ার জন্য রোদ পোহাবেন যেভাবে
সূর্য থেকে শরীরে ভিটামিন ডি সর্বোচ্চ পাওয়ার জন্য রোদ পোহানোর বেশ কিছু
নিয়মকানুন মেনে চললে সবচাইতে ভালো ভিটামিন পাওয়া যাবে। চলুন তা নিয়ে আলোচনা
করা যাকঃ
- ত্বক খোলা রাখুন যেমন হাত,পা বা মুখ।
- সূর্যের আলো সরাসরি ত্বকে পড়া নিশ্চিত করুন।
- সূর্যের আলো পাওয়ার সময় সানস্ক্রিম ব্যবহার করবেন না কারণ এটি UVB রোশনি পিছনে বাধা সৃষ্টি করতে পারে।
শিশুদের জন্য রোদ পোহানোর উপযুক্ত সময়
শিশুরা সহ্যের রোধে কতক্ষণ থাকতে পারবে তা নির্ভর করে তাদের বয়স তাকে ধরুন
মৌসম এবং আবহাওয়ার পরিস্থিতির উপর। চলুন বয়স অনুসারে শিশুদের কতক্ষণ রোদ
পোহানো উচিত তা নিয়ে আলোচনা করা যাক ঃ
- এক থেকে তিন বছর বয়সী শিশুরা ১০-১৫ মিনিটের জন্য সূর্যের রোদে থাকতে পারবে। তবে এটি সরাসরি সুযের তাপের মধ্যে না হয় ছায়ায় থাকার পরামর্শ দেয় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা।
- তিন থেকে পাঁচ বছর বয়সী শিশুরা ১৫ ২০ মিনিটের রোদে থাকতে পারে তবে তাদের ত্বকে সান ক্রিম ব্যবহার করা উচিত এবং চোখের সুরক্ষার জন্য সানগ্লাস ব্যবহার করবেন।
- পাঁচ বছরের বেশি বড় শিশুর া ২৫-৩০ মিনিট সূর্যের রোদে থাকা নিরাপদ হতে পারে তবে সময় বেশি হলে তাকে সুরক্ষা দেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
কোন সময়ে রোদ পোহালে ক্ষতি হতে পারে
রোদ পোহানোর সময় নির্ধারণের সতর্ক না হলে ত্বকের ক্ষতি সান বার্ন বা
দীর্ঘমেয়াদে ত্বকের ক্যান্সার ঝুঁকি বাড়তে পারে। যে সময় রোদ পোহালে শরীরের
জন্য ঝুঁকি চলুন তা নিয়ে এখন আলোচনা করা যাক ঃ
- সকাল ১০ টা থেকে বিকাল তিনটা এই সময় সূর্যের ইউভি রশি সবচাইতে তীব্র হয় যা ত্বকের জন্য ক্ষতিকর।
- এই সময় রোদে বের হলে ত্বকের ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং ফ্রি রেডিকেল তৈরি হতে পারে যার পক্ষে অকালে বয়সের সাব এনে দেয়।
অতিরিক্ত রোদে থাকার ঝুঁকি
- দীর্ঘ সময় রোদে থাকার ফলে ত্বক লাল হয়ে যেতে পারে এবং জ্বালা যন্ত্রণা অনুভূতি হতে পারে।
- তীব্র ইউ ভিনে দীর্ঘ সময় ধরে ত্বকের পড়লে স্কিন ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়তে পারে।
- বেশি সময় রোদে থাকার ফলে শরীরে পানি শূন্যতা দেখা দিয়ে ডিহাইড্রেশন হতে পারে।
ভিটামিন ডি এর ঘাটতি লক্ষণ
বেশিরভাগ সময় শরীরে তেমন কোন লক্ষণ দেখা দেয় না ভিটামিন ডি এর অভাব। তোর
সমস্যা একটু বাড়াবাড়ি দিকে গেলে কয়েকটি উপসর্গ দেখা যায় ।যেমন ধরুন ঃ
- ক্লান্তি
- মাংসপেশিতে ব্যথা
- হাড়ের যন্ত্রণা
- পিশিতে টান ধরা
- মুড খারাপ থাকা ইত্যাদি।
শেষ কথা ঃদিনে কোন সময় রোদ পোহালে শরীরে তৈরি হবে বেশি ভিটামিন ডি
রোদ পোহানো আমাদের শরীরের জন্য উপকারী হলেও এটি সঠিক সময় এবং সঠিক পদ্ধতিতে
করা প্রয়োজন। সঠিক নিয়ম মেনে চললে আপনি ভিটামিন ডি এর উপকারিতা পাবেন এবং
রোদের ক্ষতিকর থেকেও সুরক্ষিত থাকবেন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url