মোবাইল দিয়ে ভিডিও এডিট করার সেরা ১০ টি ফ্রি অ্যাপ

পেইজ সূচিপত্র:মোবাইল দিয়ে ভিডিও এডিট করার সেরা ১০ টি ফ্রি অ্যাপ
- মোবাইল দিয়ে ভিডিও এডিট করার সেরা ১০ টি ফ্রি অ্যাপ
- InShot
- KineMaster
- Adobe Premiere Rush
- FilmoraGo
- VivaVideo
- CapCut
- PowerDirector
- Magisto
- iMovie (ios)
- শেষ কথা ঃমোবাইল দিয়ে ভিডিও এডিট করার সেরা ১০ টি ফ্রি অ্যাপ
মোবাইল দিয়ে ভিডিও এডিট করার সেরা ১০ টি ফ্রি অ্যাপ
বর্তমান ডিজিটাল যুগে স্মার্টফোনের জনপ্রিয়তা বেড়ে যাওয়ার সাথে সাথে ভিডিও এডিটিং ও হয়ে উঠেছে অনেক সহজ এবং সাশ্রয়।পি সি বা ম্যাকের মতো বড় প্লাটফর্ম এর বাইরে এখন অনেক মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন আছে যা ব্যবহারকারীদের ভিডিও এডিটিং করার সহজ সুযোগ করে দিয়েছে।
আরো পড়ুন:২০২৫ সালে ফ্রিল্যান্সিং এর সবচাইতে বেশি চাহিদা যেসব সেক্টরে
বিশেষ করে,যারা প্রফেশনাল কাজের জন্য ভিডিও এডিটিং করতে চান এবং মোবাইল ডিভাইস ব্যবহার করার মাধ্যমে, তাদের জন্য ফ্রি সফটওয়্যার বেশ কার্যকরী। আজকে আমি আপনাদের মোবাইল দিয়ে ভিডিও এডিট করার দশটি ফ্রি সফটওয়্যার এর নাম এবং ব্যবহারবিধি নিয়ে আলোচনা করব।
InShot
ব্যবহারবিধি:
- প্রথমে অ্যাপটি ডাউনলোড করে ইন্সটল করুন।
- ভিডিও নির্বাচন করে এটি টাইমলাইনে এডিট করতে শুরু করুন।
- কাট, ট্রিম, স্পিড কন্ট্রোল, ফিল্টার, ইনফেক্ট, মিউজিক যোগ করা যেতে পারে।
আপনি সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্মে শেয়ার করার জন্য ভিডিও শেয়ার করার জন্য ভিডিও রেজোলিউশনও সিলেট করতে পারবেন।
KineMaster
KineMaster একটি প্রফেশনাল ভিডিও এডিটিং অ্যাপ যা মোবাইল ডিভাইসের জন্য অত্যন্ত জনপ্রিয়। এটি অনেক ফিচার প্রদান করে যা মূলত পেশাদার ভিডিও এডিটরের জন্য উপযোগী।
ব্যবহারবিধি:
- অ্যাপটি ওপেন করার পর একটি নতুন প্রজেক্ট শুরু করুন।
- ভিডিও ক্লিপ যোগ করুন এবং টাইমলাইনে সেগুলো এডিট করুন।
- ভিডিওতে ট্রানজিশন, ফিল্টার, ইফেক্ট, টেক্সট এবং মিউজিক যুক্ত করতে পারবেন।
- লেয়ারিং ফিচারের সাহায্যে একাধিক ভিডিও বা ছবি একসাথে এডিট করা সম্ভব।
Quik by GoPro
Quik একটি দ্রুত ভিডিও এডিটিং অ্যাপ যা GoPro থেকে এসেছে। এটি এক ক্লিকে ভিডিও তৈরি করতে সহায়তা করে, তবে এতে কিছু কাস্টমাইজেশন অপশনও রয়েছে।
ব্যবহারবিধি:
- যা দ্বারা আপনি খুব সহজেই ভিডিও কাস্টমাইজ করতে পারবেন:
- প্রথমে আপনাকে ভিডিও ও ছবি নির্বাচন করতে হবে।
- তারপর এটি অটোমেটিক্যালি ভিডিও তৈরি করতে থাকবে, যেখানে আপনি টেমপ্লেট, টেক্সট, ফিল্টার এবং মিউজিক যোগ করতে পারবেন।
- শেয়ার করতে সহজ উপায় এবং প্রয়োজন হলে অ্যাডভান্স এডিটিং ও করতে পারেন।
Adobe Premiere Rush
Adobe Premiere Rush একটি শক্তিশালী ভিডিও এডিটিং অ্যাপ যা প্রফেশনাল ফিচার ছাড়াও সহজ এবং ব্যবহারযোগ্য। এটি Adobe Premiere Rush এর সাথে ইন্টিগ্রেটেড, তাই এর মধ্যে দিয়ে আপনি অনেক প্রফেশনাল টুলের সুবিধা পাবেন।
ব্যবহার বিধি:
- প্রথমে আপনি একটি প্রজেক্ট তৈরি করুন।
- ভিডিও ক্লিপ এডিট করুন এবং একাধিক ট্রেকের এর মাধ্যমে ভিডিও সাজান।
- অ্যাপটির ক্লাউড সার্ভিস ব্যবহার করে কাজ শেয়ার এবং সিঙ্ক করা সম্ভব।
- ভিডিওতে কালার করেকশন, টেক্সট, ট্রানজিশন এবং এফেক্ট যোগ করা যায়।
FilmoraGo
FilmoraGo হলো একটি সহজ এবং সুন্দর ভিডিও এডিটিং অ্যাপ যা দিয়ে স্মার্টফোন ব্যবহারকারীদের জন্য বিশেষভাবে ডিজাইন করা হয়েছে। এই একটি ব্যবহার করে ভিডিও তে নানা ধরনের ফিল্টার এবং এফেক্ট যোগ করার সুবিধা আপনি পাবেন।
ব্যবহার বিধি:
- আপনি প্রথমে ভিডিও ক্লিপ নির্বাচন করুন এবং টাইমলাইনে যুক্ত করুন।
- আপনি সহজ কাটা, ট্রিমিং,স্পিড কন্ট্রোল, এবং রোটেট অপশন ব্যবহার করুন।
- আপনি ভিডিওতে ট্রানজিশন, টেক্সট, ফিল্টার, ইফেক্ট এবং মিউজিক যোগ করুন।
- শেয়ার অপশন ব্যবহার করে সোশ্যাল মিডিয়ার ভিডিও প্রকাশ করতে পারবেন।
VivaVideo
VivaVideo একটি শক্তিশালী এবং জনপ্রিয় ভিডিও এডিটিং অ্যাপ যা অনেক প্রফেশনাল ফিচার প্রদান করে থাকে। এটি বিশেষত সোশ্যাল মিডিয়ার ভিডিও কনটেন্ট তৈরির জন্য ব্যবহৃত হয়।
ব্যবহার বিধি:
- আপনি প্রথমে একটি নতুন প্রজেক্ট শুরু করুন।
- আপনি ভিডিও বা ছবি নির্বাচন করুন এবং টাইমলাইনে যোগ করুন।
- আপনি ভিডিওতে ট্রানজিশন, স্টিকার, ইফেক্ট, ফিল্টার এবং মিউজিক যোগ করুন।
- আপনি ভিডিওটি শেয়ার করার জন্য একাধিক রেজোলিউশন এবং ফরমেট নির্বাচন করুন।
CapCut
CapCut হলো TikTok এর মা কোম্পানি Bytedance দ্বারা তৈরি একটি ভিডিও এডিটিং অ্যাপ। ব্যবহারকারীদের জন্য অনেক ধরনের ফিচার সরবরাহ করে থাকে, যেমন ফিল্টার, সাউন্ড, ট্রানজিশন এবং মিউজিক।
ব্যবহার বিধি:
- আপনি ভিডিও ক্লিপ বা ছবি নির্বাচন করুন এবং টাইমলাইনে আনুন।
- ট্রানজিশন, স্টিকার, এফেক্ট, টেক্সট যোগ করুন।
- আপনি ভিডিওটি কাস্টমাইজ করে সেভ এবং শেয়ার করুন।
PowerDirector
PowerDirector হল একটি খুবই শক্তিশালী এবং পেশাদার ভিডিও এডিটিং অ্যাপ। এটি ভিডিও এডিটিং এর ক্ষেত্রে অনেক অ্যাডভান্সড ফিচার প্রদান করে থাকে, যেমন 4K রেজোলিউশন সমর্থন।
ব্যবহার বিধি:
- আপনি একটি নতুন প্রজেক্ট তৈরি করুন এবং ভিডিও ক্লিপ টাইমলাইনে যোগ করুন।
- আপনি ট্রানজিশন, স্টিকার,ইফেক্ট এবং টেক্সট ব্যবহার করে ভিডিও কাস্টমাইজ করুন।
-
4K রেজোলিউশন এবং স্লো মোশন ভিডিও তৈরি করতে পারবেন।
Magisto
Magisto একটি সাশ্রয়ী এবং সহজ ভিডিও এডিটিং অ্যাপ। এটি ব্যবহারকারীদের ভিডিওতে ফিল্টার এবং মিউজিক যুক্ত করে একটি সুন্দর প্রফেশনাল ভিডিও তৈরি করতে সহায়তা করে।
ব্যবহার বিধি:
- আপনি ভিডিও ক্লিপ নির্বাচন করুন এবং অ্যাপটি সেটি অটোমেটিক্যালি এডিট করবে।
- আপনি ভিডিওতে আরো মিউজিক, ফিল্টার, স্টিকার, টেক্সট এবং ইফেক্ট যোগ করতে পারেন।
- আপনি সহজে শেয়ার অপশন এবং ক্লাউড স্টোরেজের মাধ্যমে ভিডিও সংরক্ষণ করতে পারবেন।
iMovie (ios)
iMovie হলো একটি জনপ্রিয় ভিডিও এডিটিং অ্যাপ যা শুধুমাত্র ios ডিভাইসের জন্য উপলব্ধ। এটি সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীদের জন্য একটি শক্তিশালী টুল যা সহজে ভিডিও এডিটিং করতে সহায়তা করে।
ব্যবহার বিধি:
- আপনি iMovie ওপেন করুন এবং একটি নতুন প্রজেক্ট তৈরি করুন।
- আপনি ভিডিও ক্লিপ বা ছবি টাইমলাইনে যুক্ত করুন।
- আপনি ভিডিওতে মিউজিক,ট্রানজিশন, টেক্সট, ফিল্টার , স্টিকার এবং এফেক্ট যোগ করুন।
- শেয়ার অপশন দিয়ে আপনার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করতে পারেন।
শেষ কথা ঃমোবাইল দিয়ে ভিডিও এডিট করার সেরা ১০ টি ফ্রি অ্যাপ
মোবাইল দিয়ে ভিডিও এডিটিং একটি জনপ্রিয় প্রবণতা হয়ে উঠেছে এবং অনেক ফ্রি সফটওয়্যার এখন আমাদের হাতের মুঠোয়। প্রতিটি অ্যাপের নিজস্ব বৈশিষ্ট্য এবং সুবিধা রয়েছে যা সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীর নির্দিষ্ট কাদের জন্য উপযুক্ত। আপনি যদি একটি সহজ এবং দ্রুত ভিডিও তৈরি করতে চান, তবে InShot,Quilk বা VivaVideo খুবই কার্যকরী হতে পারে।
তবে, যদি আপনি প্রফেশনাল ভিডিও তৈরি করতে চান, তাহলে KineMaster, Adobe Premiere Rush,বা PowerDirector বেশ উপকারী। এই সফটওয়্যার গুলোর মাধ্যমে আপনি মোবাইল ডিভাইস ব্যবহার করতে চমৎকার ভিডিও কনটেন্ট তৈরি করতে পারবেন। আমার এই ব্লগটি পড়ে আপনি যদি উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে আপনার পরিচিত জনদের মধ্যে শেয়ার করবেন, ধন্যবাদ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url